‘এই মাঠে জয় পাওয়া কঠিন হলেও আশাবাদী আমরা’

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টে জয়ের খোঁজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই প্রত্যাশা টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হকের। ওপেনিংয়ে নাইম শেখ অথবা মাহমুদুল হাসান জয়ের অভিষেকের আভাস দিয়েছেন তিনি। তবে উইকেট যেমনই হোক, জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় পাকিস্তান। জানিয়েছেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়।

অনুশীলনের শুরুটা একই ভঙ্গিতে। আলাদা মাঠে ফুটবল খেলায় মাতলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। নির্ভার থাকার এই প্রচেষ্টার পেছনে বাংলাদেশের মাথায় রাজ্যের চাপ। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী বাবর আজমরা।

একটা জয়ের জন্য কতো চেষ্টা, কত পরিবর্তন। তবু 'সময়' যেন মুখ তুলে দেখছে না। আশার বেলুন ফুলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টে মাঠে নামবে টাইগাররা।

এতো সমালোচনা আর অস্বস্তি নিয়ে আদতে নির্ভার থাকা যায় না। ফুটবল ছেড়ে তাই সিরিয়াস অনুশীলনে গোটা দল। উইকেটটা নিয়ে যত চিন্তা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রত্যাশা রাখলেন ব্যাটারদের উপর।

লাল কি সাদা বল। টপ অর্ডারে চিত্রটা অভিন্ন। ওপেনিংয়ে সাইফ ছিটকে গেছেন। সাদমানের সঙ্গী কে হবেন? স্কোয়াডে আছেন দুই অনভিজ্ঞ নাইম এবং জয়। রাইট-লেফ্ট কম্বিনেশনে আস্থা রাখলে জয়কে দেখা যেতে পারে ঢাকা টেস্টে।

ম্যাচের আগের দিন পাকিস্তান ব্যস্ত ছিল বোলিং ব্যাটিং আর ফিল্ডিং অনুশীলনে। বাবর, আজহার,আবিদরা নেটে সময় কাটিয়েছেন দীর্ঘক্ষণ। মিরপুরের উইকেট স্পিন স্বর্গ। তাই সাজিদ, নোমানরাও বাড়তি কাজ করেছেন সাকলাইন মোস্তাকের সাথে। ছন্দে থাকা পাকিস্তান শেষ করতে চায় জয় দিয়ে।

এদিকে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি কথা বলেছেন সংবাদ মধ্যমে। তিনি বলেন, ‘এখানের উইকেট কেমন হয় আমরা ধারণা পেয়েছি। স্লো উইকেটে ব্যাটারদের পরীক্ষা দিতে হবে। আমাদের স্পিনাররাও বেশ ভালো। আমরা যারা পেসার রয়েছি ছন্দ ধরে রাখার চেষ্টা করব। এই মাঠে জয় পাওয়া কঠিন হলেও আশাবাদী আমরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত খেলা ১২ টেস্টে একটি জয়ও নেই বাংলাদেশের।’