সফল কূটনীতিক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ছিলেন সফল কূটনীতিক। স্থান পেয়েছেন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায়। যেখানে অন্য আরেক কূটনীতিক থেকে হওয়া মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রীর ভাই। তিনি সিলেটের কৃতি সন্তান ও সদ্য বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহোদর ড. একে আবদুল মোমেন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ তিনি। প্রথমবারের মতো নির্বাচন করা এই সাংসদকেই নতুন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়(ম্যাসাচুসেটসের বোস্টন) থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করা আবদুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে বিএ এবং ১৯৭১ সালে উন্নয়ন অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ পাস করেন। পাশাপাশি ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে আইনশাস্ত্রে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ড. মোমেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর মর্যাদা লাভ করেন। এ ছাড়া তার সময়ই বাংলাদেশ থেকে প্রথম নারী শান্তিরক্ষী, নেভাল ফোর্স পাঠানো হয়। জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ক্ষতিপূরণের দাবি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রকল্পে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে অনাকাঙ্ক্ষিত শিশুশ্রম, শিশুকে জঙ্গি হিসেবে ব্যবহার এবং শিশু যৌনকর্মী ব্যবহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ড. এ কে আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই যুগ শিক্ষকতা করেছেন।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের নারী ও শিশু পাচার বন্ধে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ফলে ১৯৯২ সালে মুম্বাই থেকে ২৫টি শিশু এবং পাকিস্তান থেকে অসংখ্য মেয়েকে ফিরিয়ে আনা হয়। নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের খৎনা, শিশুদের উটের জকি বন্ধকরণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলেন তিনি। ড. মোমেনের বলিষ্ঠ ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৯৪ সালে দুটি বিল পাস করে। ড. মোমেনের এ উদ্যোগ বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে বিল ক্লিনটন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনুপ্রেরণা যোগান।
ড. মোমেন বোস্টনের ‘উইম্যান অ্যান্ড চিলড্রেন’ মানবিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। সিনেটর কেনেডির পত্র নিয়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নারী ও শিশু পাচার বন্ধ ও ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের জন্য তহবিল গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
ড. মোমেনকে ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মানবকল্যাণে অবদানের জন্য মার্কিন পত্রিকা ঈগল ট্রাইবুন ‘হোম টাউন হিরো’, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ‘হিউমেনিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড,’ ও নিউইয়র্কের প্রবাসী সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস অব দি পুওর’ উপাধিতে ভূষিত করে।
ড. মোমেন ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়া সন্দ্বীপে স্কুল কাম শেল্টার সেন্টার স্থাপনে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার দানে প্রধান ভূমিকা রাখেন। ঢাকার মহিলা পরিষদের আবাসিক, গ্রামীণ ব্যাংকের ফান্ড, ব্র্যাকের বিভিন্ন সেবা কাজে, ঢাকা মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাবকে শিক্ষা ও চক্ষু প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, গাজীপুরে কিশোরী মেয়েদের সেবা হোমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করেন। তাকে বিশ্বের অনেক সংস্থা, অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন সম্মাননা প্রদান করে।
ড. মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিএ (অনার্স) ও এমএ, এলএলবি, এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি (অর্থনীতি), এমপিএ (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়) করেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর একান্ত সচিব হিসাবে বাংলাদেশের ওয়েজ আর্নার স্কিম চালু করেন। এটি বঙ্গবন্ধু সরকারের উল্লেখযোগ্য অবদান।
অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের একান্ত সচিব থাকা অবস্থায় অনেক ঝক্কি-ঝামেলা মোকাবেলা করে দেশের চা-বাগানগুলো ব্যক্তি মালিকানায় দেয়ায় ভূমিকা রাখেন আবদুল মোমেন।
১৯৮৮-৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্সিয়াল পদপ্রার্থী মাইকেল ডুকাকিসের উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের ‘মহাসম্মেলন বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বোস্টনে ফোবানার তৃতীয় মহাসম্মেলনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশের প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দল একযোগে যখন স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হঠাও আন্দোলন করে আশানুরূপ ফল পাচ্ছিল না তখন ড. মোমেন ১৯৮৮ সালে ইউএস কংগ্রেসে এরশাদ সরকারের ওপর এক শুনানির আয়োজন করেন। ফলে এরশাদের পতনের শুভসূচনা ঘটে।
ড. মোমেনের প্রচেষ্টায় ১৯৮৯ সালে ইউএস কংগ্রেসে বন্যার ওপর একটি শুনানি হয়। ফলে বাংলাদেশের জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য বরাদ্দ হয়। ১৮৮৯ সালে ‘ম্যাসাচুচেস্ট সিনেট’ গভর্নর ড. মোমেনের বাংলার মানুষ ও মানবতার কাজের জন্য ‘আম্বাসেডর অব গুডউইল’ উপাধি দেন।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হলে আমেরিকার বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে ড. মোমেনের বক্তব্যে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার সাহায্য সংগ্রহ করে দেশে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ‘ম্যাসাচুচেস্ট সিনেট’ বাংলাদেশে অধিক সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং জর্জ বুশ বাংলাদেশে মেরিনদের সাহায্যদাতা হিসেবে পাঠায়।
১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হলে ড. মোমেন অনেক শ্রম, অনেক চেষ্টা, অনেক তদবিরের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ মওকুফ করান। এ ছাড়া বিল ক্লিনটন সরকারকে দিয়ে আরও ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ মওকুফ করান। শুধু তাই নয়; আরও ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ মওকুফের জন্য তৎকালীন এরশাদ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদনের অনুরোধ করেন।
যদিও ১৯৮২ সালে এই এরশাদ সরকার ড. মোমেনকে জোরপূর্বক অবসরে পাঠায়। তারপরও ড. মোমেন দেশের অসহায় দুর্গত মানুষের কথা চিন্তা করে অনেক অপমান সহ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা করে দেন। যা একজন দেশপ্রেমিকের দ্বারাই সম্ভব।

- ওজনে কারসাজি, সিলেটের বিভিন্ন পাম্পে অভিযান; জরিমানা আদায়
- গোলাপগঞ্জে ৫৭৭৫ পিস ইয়াবা ও আড়াই লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১
- বঙ্গমাতার জন্মদিনে সেলাই মেশিন-নগদ অর্থ পেলেন নারীরা
- দুই নারী শিক্ষকের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
- নয়াসড়ক মসজিদের মোতাওয়াল্লী নিয়ে মারামারি, আহত ১
- তিনটি উপাদানে চুলের খুশকি দূর করতে পারেন
- এশিয়া কাপে নেই বুমরা, ফিরলেন কোহলি
- যুক্তরাষ্ট্রে এলোপাতাড়ি গোলাগুলিতে নিহত ৪
- ধারাবাহিক নাটকে ক্রিকেটার আশরাফুল ও জাহানারা
- জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
- পাবনায় এক সঙ্গে শতাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
- সিলেটের একাধিক সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ
- বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান
- সাকিবকে নোটিশ পাঠাল বিসিবি
- মার্কিনিরা ককটেল জাতি: বেনজীর আহমেদ
- যুক্তরাষ্ট্রে ‘ঐতিহাসিক’ বিল পাস
- রাশিয়ার সেনা ঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলা
- যন্ত্রণার মধ্যে আছি, আপনাদের দোয়া চাই: শোয়েব আখতার
- খোলাবাজারে আরও বাড়ল ডলারের দাম
- বিশ্বে জ্বালানির দাম কমলে সুফল মিলবে দেশেও : অর্থমন্ত্রী
- উন্নয়নের লক্ষ্যে এশিয়া একসঙ্গে কাজ করতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
- ভক্তের কাণ্ডে অবাক মিম
- আমি কি দোষ করেছি: জ্যাকলিন
- দূরবীণ দিয়েও রণবীরের শরীরের গোপন কিছু দেখতে পেলাম না: টুইঙ্কেল
- করোনায় ৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৯৬
- রাশমিকাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বললেন প্রভাস
- সিলেটে কেন এতো লোডশেডিং?
- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ঋণ বয়ে বেড়াচ্ছি: তোফায়েল আহমেদ
- এবার আফগানিস্তানে টিটিপির তিন কমান্ডার নিহত
- বঙ্গমাতা পদক পেয়েছেন মন্ত্রী ইমরানের স্ত্রী নাসরীন
- অনাগত সন্তানের জন্য রাজ-পরীর প্রস্তুতি
- তৃতীয় সন্তানের মা হচ্ছেন কারিনা!
- আবারো কি মা হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা
- বর্ষার ‘যত্ন দ্য কেয়ার’
- ‘সেক্সি’ অবতারে শ্রাবন্তী, দৃশ্যমান ‘বুড়ি’র বক্ষ বিভাজিকা
- কিসের অপেক্ষায় রাজ-পরীমনি
- অসুস্থ শরীরে ‘পরাণ’ দেখতে এসে কাঁদলেন পরীমনি
- নওশীন-হিল্লোলের ঘরে নতুন অতিথি
- ছেলের মা হচ্ছেন পরীমনি, কেনাকাটায় মিললো আভাস!
- ‘পরাণ’ দেখে কাঁদলেন পরী
- নায়িকা দীঘি বললেন, ‘১ লাখ, ইয়েস’
- জয়ার নীল দুনিয়া, গভীর রাতে ভক্তদের মনে বড় ‘ধাক্কা’
- যে কারণে টিকটক করা বাদ দিচ্ছেন দীঘি
- বাংলাদেশের টানা ১০ জয়
- আমিও একজন প্রাউড মাদার হবো: পরীমনি
- শাকিব খান ও সাকিবকে একসঙ্গে দেখতে লাগবে ২০ হাজার টাকা
- শিশুদের ‘কলিজা’ খাওয়াই ছিল বাংলার প্রথম নবাবের কন্যার নেশা
- অঙ্কুশের সঙ্গে নুসরাত ফারিয়ার ‘ভয়’ শেষ
- ইত্যাদি এবার কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে
- দর্শকের চাপে বাড়লো ‘হাওয়া’র শো, নামলো হলিউডের ‘থর’
