লন্ডন থেকে প্ল্যান, ইকবালকে ভাড়া করে বিএনপি নেতা

কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তদন্ত করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে মন্দিরে কে কোরআন রেখেছিল, তা শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ৫০০ গজ দূরের দারোগাবাড়ি মাজারসংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে মন্দিরে ঢোকেন ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক। ঘটনার আট দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে ইকবালকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

জানা যায়, অপরাধী ইকবাল হোসেন মন্দিরে কোরআন রাখলেও সে এই জঘন্য কাজের মূল হোতা নয়। ফলে মূল হোতাকে তাদের শনাক্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইকবালের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে অনেক কিছুই ইতিমধ্যে খোলাসা হয়েছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কুমিল্লা বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী ভূঁইয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইকবালকে এ কাজে জড়িয়ে ছিলেন। 

যদিও এখনো অফিসিয়ালি কিছু বলতে চাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অতি সত্ত্বর কুমিল্লার ঘটনায় তারেক রহমানসহ যারা জড়িত তাদের সকলের নাম প্রকাশ করবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ইকবাল যার প্ররোচনায় এটা করেছে তাকে খুব শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে। সঙ্গে নোয়াখালীতে যারা সহিংসতায় জড়িত ছিল, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, কে হামলা চালিয়েছে, এটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যদি এটা বিএনপির কেউ করিয়ে থাকে, বিষয়টি দুঃখজনক। রাজনীতির নামে এমন নোংরা খেলা পরিচালনা করা ঠিক না। ক্ষমতায় আসতে এতোটা নিচে নেমে যাওয়া ঠিক নয় বলে আমি মনে করি।