সিলেটের দমদমা সীমান্তে গুলি, নিখোঁজ এক 

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিলেন চারজন। এ সময় ভারতের বাসিন্দারা ধাওয়া করে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। পরে ওই চারজন থেকে নুরুজ্জামান মিয়া (২৬) নামের এক তরুণ নিখোঁজ হয়ে যান। অপর তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের দমদমা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও নুরুজ্জামান মিয়া এখনও ফেরত আসেননি।

বাকি তিনজন হচ্ছেন- নুরুজ্জামানের ভাই নুর উদ্দিন (৩০), গিয়াস মিয়া (২৮) ও নজরুল ইসলাম। তাঁরা সবাই কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই লামাগ্রামের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই লামাগ্রামের দুই ভাই নুরুজ্জামান মিয়া ও নুর উদ্দিন এবং তাঁদের সঙ্গে গিয়াস ও নজরুল- এই চারজন ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় কাঠ কুড়াতে যান। একপর্যায়ে তাঁরা ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে স্থানীয় ভারতীয়রা এ ৪ জনকে ধাওয়া করেন। এ সময় ভারতের বাসিন্দারা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়েন। এ সময় তিনজন পালিয়ে আসতে পারলেও নুরুজ্জামান বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেননি। তিনি ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরেই নিখোঁজ হন। ঘটনার পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তাঁর কোনো খোঁজ নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি- বুধবার বিকেলে ভারতের অভ্যন্তরে কাঠ চুরি করতে যান কোম্পানীগঞ্জের চার বাসিন্দা। সেখানে প্রবেশের পর সেখানকার বাসিন্দারা গুলি চালান। এ সময় তিনজন ফিরে এলেও অন্য একজন ফেরেননি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি, এমনকি বিজিবি বা বিএসএফ কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।’