তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনের সমর্থনে সভা 

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লন্ডন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, তাজপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি ফয়সল হোসেন সুমনের সমর্থনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে তাজপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সর্বদলীয় জনসাধারনের উদ্যোগে কাজিরগাঁওস্থ ফয়ছল হোসেন সুমনের নিজ বাড়িতে মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাজপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের অর্ন্তভুক্ত বরায়া চাঁনপুর, যাহাপুর, বোরহামপুর, উদর কোনো, পালপাড়া, উত্তর মজলিশপুর, দীগর গয়াসপুর, মোল্লাপাড়াসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত সহস্রাধিক লোকজন দলমত নির্বিশেষে ফয়ছল হোসেন সুমনকে সমর্থন দিয়ে তাজপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার আহব্বান জানান।

৮নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কদির এর সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা ফয়ছল হোসেন সুমন ছোটবেলা থেকে এলাকার কল্যাণকর কাজের সাথে জড়িত। তাঁর দাদাও ছিলেন তাজপুর ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সেই সুবাধে  জন্মলগ্ন থেকেই অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধাসহ উন্নয়নের সার্বিক দিকগুলোর সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

ছাত্র জীবনে সে ছিল অত্যান্ত মেধাবী। সামাজিক সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও রাজনীতিতে সাহসী ভূমিকার ফলে নির্বাচিত হয়েছিলেন তাজপুর ডিগ্রী কলেজের ভিপিসহ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির। পরবর্তীতে জিবনের তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমালেও প্রবাসের বিলাসি জীবনের মোহে না থেকে এলাকার সর্ব শ্রেনীর মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় প্রসারিত করেছেন হাত। পাশাপাশি রাজনৈতিক দক্ষতার ফল সরুপ দ্রুত সময়েই অসিন হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের লন্ডন মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের।

কিশোর বয়স থেকে এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে এগিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের প্রত্যয় নিয়ে বিলাসী জীবনের নেশা ত্যাগ করে তাজপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতার  প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাজপুর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরসহ জনগনের মৌলিক অধিকারের সঠিক বাস্থবায়নে সুমনের মত মানুষের প্রয়োজন। তাই আগামী নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ফয়ছল হোসেন সুমন ভোট দেয়ার আহব্বান জানানো হয়। 

মত বিনিময় সভায় ফয়সল আহমদ সুমনের বাবা আলহাজ্ব মকবুল আলী বলেন, আমার চাচা মোজেফর আলী ছিলেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান। আমাদের পারিবারিক অর্থায়নে দানকৃত ১৪ শতক ভূমিতে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদটি প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি ভবনও নির্মান হয়েছিল। এখনও সেখানেই চলমান রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে অনেকইে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শত বেড়াজ্বালে আটকা পড়ে সরকার নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি সংকট থাকায় এই ইউনিয়নটিকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর সম্ভব হয়নি। ইউনিয়নটিকে মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরাও পারিবারিক ভাবে আরও ২০ শতাংশ ভূমি ইউনিয়নে দান করার সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। তাজপুর ইউনিয়নকে মডেলে রুপান্তর করতে যতটুকু যায়গা প্রয়োজন আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ততটুকু জায়গা ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা চালিয়ে যাব।

এসময় তাঁর পুত্র ফয়সল হোসেন সুমনের প্রতি সাধারণ মানুষের জনসমর্থন দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নাজনিত কন্ঠে আরোও বলেন, আমার সুমনকে আজ আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। সে ভুলত্রুটি করলে আপনারা তার বিচার করবেন। আমি আপনাদের সহযোগী হিসাবে কাজ করে যাব।

যুবলীগ নেতা সেলিম আহমদ ও জায়েদুল আম্বিয়া কার্জনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, কমিনিউটি নেতা আনহার মিয়া, হাজী জমির আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বশির আহমদ, সুন্দর আলী খান, হাজী জমির আলী, মাওলানা নোমান আহমদ, আব্দুস সালাম, কমরেড আফরুজ আলী, হাজি শায়েখ, মামুনুর রশিদ খলকু, আব্দাল মিয়া, সুহেল আহমদ, লাল মিয়া, আজমান আলী, লুৎফুর রহমান ফয়সল, সালাউদ্দিন সালাই, খন্দকার মাছুম আহমদ, ইউপি সদস্য খালেখ আহমদ খুকু, সাদেকুর রহমান সাদেক প্রমুখ। উক্ত মতবিনিময় সভায় ৮ নং ওর্য়াডের বাসিন্দারা ছাড়াও তাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার সহস্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।