ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬২

সেবার প্রসারে সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

১৯১৯ সালে স্থাপিত হয় সুনামগঞ্জ পৌরসভা। শত বছরেরও পুরনো সুনামগঞ্জ পৌরসভার জনসংখ্যা ও আবাসিক এলাকা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির এই পৌরসভার আয়তন ২২.১৭ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সীমানা ও জনসংখ্যার অসামঞ্জস্যতার কারণে সেবা প্রদানে কাউন্সিলারদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেজন্য নাগরিক সুবিধা প্রদানের সুবিধার্থে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধির আবেদন করেছেন সকল কাউন্সিলরবৃন্দ।

গত ৩০ মে মাসিক সভায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত এর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করেন কাউন্সিলরা। পৌর মেয়রও এ ব্যাপারে কাউন্সিলদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা বিষয়টি প্রস্তাব আকারে এনেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে আমরা আবেদন করবো। মন্ত্রণালয় আরও যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রস্তাব গৃহীত হলে হয়তো পৌরসভার সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ পৌরসভা একটি ১ম শ্রেণির পৌরসভা। প্রায় ২৩ বছর যাবত জনসংখ্যা ও আবাসিক এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও আবাসিক এলাকা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৪৯ হাজার ৪৫৭ জন হলেও জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৫০ হাজার প্রায়। জনসাধারণের নাগরিক সেবা বৃদ্ধিকল্পে ৯টি ওয়ার্ডের পরিবর্তে বিভাজন করে কমপক্ষে ১৫টি ওয়ার্ডে করা প্রয়োজন। বর্তমানে ৯টি ওয়ার্ড এলাকা ও জনসংখ্যার অনুপাতে অনেক বৈষম্য বিদ্যমান।

আবেদনে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও আবাসিক এলাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগরিক সুবিধা যাতে এলাকাবাসী পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।

আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কাওসার, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ ইয়াছিনুর রশিদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সাবেরীন সাবু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবাবিল নূর, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহসান জামিল আনাছ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহমদ নুর, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গোলাম আহমদ, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পিয়ারা বেগম, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সৈয়দ জাহানারা বেগম।

৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী বলেন, তিনটি ওয়ার্ডে আমার এলাকায় ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার। ওয়ার্ড একবারে ঘুরে আসাও অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে হচ্ছে না। বিগত বছরে যখন স্কুল কলেজে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়, তখন একসাথে হাজার হাজার জন্ম নিবন্ধনের আবেদন পড়েছিল। তখন দেখা গেছে, অনেকে দুই মাস তিন মাস আগে জন্ম নিবন্ধন করে রেখেছেন, কিন্তু আমাদের দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ১০-১২ হাজার জন্মনিবন্ধন এক মাসের ভিতর দেখা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি বলেন, ৯টি ওয়ার্ড বেড়ে যদি ১২টি ওয়ার্ড হয় কাউন্সিলর বাড়বেন, সেই সাথে নাগরিক সুবিধা প্রদান আরও সহজ ও দ্রæত হবে।

আমার ওয়ার্ডগুলোতে ভোটার সংখ্যা কম কিন্তু জনসংখ্যা বেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটার নন এমন অনেকে এলাকায় বসবাস করছেন, পৌরসভার সুবিধা ভোগ করছেন। উত্তর আরপিননগরে এমনও আছে- যেখানে একটি ঘরে বসবাস করে ৪-৫ পরিবার। একই ঘরে বাবা-ছেলে-নাতিপুতিরা থাকছেন। তাদের পৌরসভার অন্য জায়গায় সুন্দরভাবে থাকার ব্যবস্থা করা যায় কী-না, সেই বিষয়েও মেয়র মহোয়ের সাথে কথা বলেছি আমি।

৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ বলেন, আমার ওয়ার্ডের জনসংখ্যা আনুমানিক ১২ হাজার। এরমধ্যে ভোটার রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার। এছাড়াও আছে ভাসমান মানুষ। মধ্য শহরটা আমার ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত। আনপিননগর মসজিদের পেছন থেকে শুরু হয়ে কাজীর পয়েন্ট, বিহারী পয়েন্ট, ময়নার পয়েন্ট, শান্তিবাগের বিশাল এলাকা আমার ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত।
তিনি বলেন, নতুনপাড়া আয়তনে কম, কিন্তু ভোটার রয়েছেন ৬-৭ হাজার, ১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন ৮-৯ হাজার ভোটার। আবার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার থেকে ৩২শ’ ভোটার রয়েছেন। এই অসামঞ্জস্যতার কারণে নাগরিক সেবা প্রদানে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এজন্য আমরা চাইছি যাতে আয়তন ও জনসংখ্যার একটা সামঞ্জস্য আনতে।

তিনি বলেন, আমি বাজার এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার পূর্বাঞ্চলের মানুষ দূরত্বের কারণে সহজে আমার কাছে আসতে পারে না। এরআগের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাসা ছিল ময়নার পয়েন্টের শেষ সীমায়। তখনও সোমপাড়া, রায়পাড়া ও বাজারের মানুষকে এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনও ওয়ার্ড আছে যেখানে কাউন্সিলরা রিলিফের কার্ড কয়েক ঘন্টায় বিতরণ করতে পারেন, কিন্তু আমার ৩দিন লাগে।

তিনি বলেন, ভৈরর পৌরসভায় ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এভাবে যশোর, টাঙ্গাইল সহ দেশের বিভিন্ন পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মেয়র মহোদয়ও এব্যাপারে আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন।

১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কাওসার বলেন, এলাকা বড় হওয়ায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়তে হয় আমাকে। যেমন- আমি নবীনগগর আছি, এমন সময় মাইজবাড়ি বা মোহাম্মপুরে কোন ঘটনা ঘটলে আমি যাওয়ার আগেই সেটি শেষ হয়ে যায় অথবা বড় আকার ধারণ করে। এছাড়াও অন্য ওয়ার্ডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মানুষের বাস আমার ওয়ার্ডে। জনসংখ্যা ৩০ হাজারের উপরে। ভোটারও রয়েছেন প্রায় ৯ হাজার। একজন কাউন্সিলরের পক্ষে প্রায় বিপুল মানুষকে সেবা দেয়া কঠিন ব্যাপার।
তিনি বলেন, প্রায়ই সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন- ভিজিএফ কার্ড বা ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়, এসব ওয়ার্ডের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম থাকে। একটি পাড়ায়ই মানুষকে সন্তুষ্ট করা যায় না। উপকারভোগী ৪ হাজার থাকলে পাওয়া যায় ১৮০-২০০ জনের।

পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়িয়ে নাগরিক সেবা প্রদানের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে আমরা সকলেই একমত। সংখ্যার অনুপাতে যদি ওয়ার্ড বৃদ্ধি পায় তাহলে নাগরিক সুবিধা ডিসেন্ট্রালাইজেশন হবে। আমার কাছে যদি এখন থাকে ১০ জন, ওয়ার্ড বৃদ্ধির পর হবে ৫ জন। সেক্ষেত্রে আমি ৫ জনকে বেশি সেবা প্রদান করতে পারবো। এই দিক বিবেচনা করে আমরা এটি প্রস্তাব আকারে এনেছি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আমরা আবেদন করবো। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আরও যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রস্তাব গৃহীত হলে হয়তো পৌরসভার সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার