ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৪৩

ভয়াবহ অনিয়মে জড়িত সিলেট শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে ভয়াবহ অনিয়ম দুর্নীতি জালিয়াতিতে জড়িত মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহম্মদ। বদলিযোগ্য চাকরি হলেও টানা ১২ বছর ধরে তিনি একই অফিসের প্রধান কর্তা হিসেবে এখনো বহাল তবিয়তে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একটি তদন্ত দল সরেজমিন তদন্ত করে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কারণে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার প্রাথমিক ধাপই হচ্ছে বিভাগীয় ব্যবস্থা।

২০১১ সালের মার্চে যোগদান করে জাহাঙ্গীর কবীর আহম্মদ। যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়মের জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেও প্রভাবশালীদের তদ্বিরে পার পেয়ে যান এই কর্মকর্তা। সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচয়ও দিতেন তিনি। কারণে শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহসও পাননি। সব শেষে বেশ কয়েক জন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েই ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি শিক্ষক হয়রানির প্রমাণ পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে গরিমসি করেছেন কর্মকর্তা। এমনটি দেওয়ার কথা বলেও দেয়নি। তথ্য না পাওয়া আরো অনেক অনিয়ম তুলে আনা যায়নি বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তার এই দুঃসাহসের কারণে বিব্রত তদন্ত কর্মকর্তারা। 

শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে বিকেন্দ্রীকরণ করে সরকার। এর ফলে এমপিও যাচাই বাছাইয়ের ক্ষমতা চলে যায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে। আর মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা উপপরিচালক। আর এতেই  হয়রানি বাড়ে শিক্ষকদের, আর লাভ হয় জাহাঙ্গীর কবীরদের।

এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সব ধরনের অনিয়মই করেছেন এই কর্মকর্তা। এমপিওভুক্তির যোগ্য নন, এমন ব্যক্তির এমপিওভুক্তির জন্য ফাইল অনুমোদন করেছেন। আবার নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তি প্রাপ্য এমন শিক্ষককে হয়রানি করেছেন। ফাইল ফেরত পাঠানো হয়েছে।  

সব কিছুর মূলেই টাকা। টাকা দিলেই সব হয়। টাকা না দিলে যোগ্য ব্যক্তি এমপিওভুক্তি হয় না। আবার অযোগ্য ব্যক্তির এমপিওভুক্তি হয়। উপজেলা, জেলা উপজেলা এই তিন কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে শিক্ষকদের হয়রানি করে বলে তদন্তে উঠে আসে।

তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে, নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও প্রথমে এমপিওভুক্তির আবেদনে আপত্তি প্রদান করেন কর্মকর্তা। আবার একই ব্যক্তিকে পরে এমপিও প্রদানের জন্য ফাইল অনুমোদন করেন। দুর্নীতির উদ্দেশ্যে হয়রানি করা হয়েছে বলে কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

সিলেটের আল আমীন জামেয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) শামছুল হক এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। প্রথম বার আবেদন ফেরত পাঠানো হয়। এর কারণ হিসেবে দেখানো হয় যোগ্যতার ঘাটতি। কিন্তু কোন ধরনের যোগ্যতার ঘাটতি আছে তার উল্লেখ নেই। এটি উপপরিচালকের কার্যালয় হতে করা হয়। পরেঅন্যান্যকারণ দেখিয়ে দুই বার জেলা শিক্ষা অফিস এবং একবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস হতে আবেদন ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু কোন কারণে ফেরত পাঠানো হলো তা উল্লেখ করা হয়নি। তদন্ত কমিটি বলছে,  এভাবে তিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তদন্ত দল মনে করে।

তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে উপপরিচালকের অলিখিত নির্দেশনার কারণেই ১ম বার ফাইল ফরোয়ার্ড করে পরবর্তী সময়ে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করে অন্যান্য কারণ লিখে উনারা তিন বার ফাইল রিজেক্ট করেছেন। এটি হয়রানি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।

তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে, একই যোগ্যতা থাকার পর কাউকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, আবার কাউকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শচীন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌতম সরকার সহকারী অধ্যাপক পদে এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপপরিচালক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়রানিমূলক আচরণ করে তাকে তার প্রাপ্য সহকারী অধ্যাপক স্কেল প্রাপ্যতা হতে বঞ্চিত এবং সরকারি নির্দেশনা আমান্য করেছেন। অধিকন্তু তার বিপরীতে একই প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক স্কেলে এমপিওভুক্ত করে বিধিবহির্ভূত কাজ করেছেন যা অসদাচরণ।

হবিগঞ্জ সদরের শিক্ষক মো. নুরুল হুদার নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। সরকারি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত না থাকায় এমপিওভুক্ত হবার সুযোগ নেই। কিন্তু এই শিক্ষকের এমপিও অনুমোদন দিয়েছেন উপপরিচালক। এছাড়া আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিভিন্ন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি কোনো বিধি মানা হয়নি।

উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘২০২১ সালের দিকে ডিআইএ তদন্ত দল এসেছিলো। আমার উত্তরে তারা স্যাটিসফাইড হয়েছিলেন। কিন্তু এতোদিন পরে কেন এই রিপোর্ট তা বুঝলাম না। তবে আমি জ্ঞাতভাবে কোনো অনিয়ম করিনি। এই পদে আমি থাকতে চাইনি। বদলির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমাকে বদলি করা হয়নি।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার