গোলাপগঞ্জে মামলার সাক্ষী হওয়ায় যুবকের উপর হামলা

সিলেটের গোলাপগঞ্জে মামলার সাক্ষী হওয়ায় গোলাম এহিয়া এমরান নামের এক যুবক প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নিজ ফুলশাইন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় গোলাম এহিয়া এমরান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে গোলাম এহিয়া এমরান উল্লেখ করেন, তার চাচা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কাদিরের বাড়ি ও নিজস্ব কবরস্থানের দেওয়াল ভাঙ্গা ও দেয়ালের মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় সে সাক্ষী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। রোববার বেলা ১১টায় নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য ১লক্ষ টাকা নিয়ে এমরান বাড়ি থেকে বের হলে তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে নিজ ফুলশাইন্দ গ্রামের মৃত আখলাক মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ছুটু, ফয়জুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এমরান নিজেকে বাঁচানোর জন্য বাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে ঢুকেও তার উপর হামলা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

গোলাম এহিয়া এমরান জানান, লন্ডন প্রবাসী চাচার জায়গা দখলের জন্য অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে পায়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময় তারা আমার চাচা ও আমাদের কাছে মোটা অক্ষের চাঁদাও দাবি করে আসছিল। বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়েও তারা আমাদের হয়রানি করে আসছে। চাচার দায়ের করা মামলায় আমি সাক্ষী হওয়ায় আমায় আগ থেকে প্রাণে মারার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। রোববার তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমায় প্রাণে মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। অল্পের জন্য আমি বেঁচে ফিরলেও আমার পায়ে ও হাতে তারা হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। এছাড়াও আমার গলায়ও দা দিয়ে কুপ মেরেছিল যা অল্প আমার গলায় অল্প লেগেছিল। আমি এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোন সময় তারা আমার আবারো হামলা করবে। 

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।