বিশ্বনাথে তীব্র খাবার পানি সংকট

সিলেটের বিশ্বনাথে এখন আর আগেরমতো হাতের চাপে নলকূপে খাবার পানি আসেনা! তাই উপজেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার পানি সংকট। আগেকার যুগে স্থাপন করা ৩০০/৩৫০ফুট গভীরের নলকূপে দেখা দিয়েছে এমন সংকট।এসব নলকুপে এখন আর হাতের চাপে পানি আসেনা।তাই বাড়িতে এমন নলকুপ থাকাসত্যেও গভীর নলকুপ স্থাপিত বাড়িতে গিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন নারীরা।

যে নলকুপ স্থাপনে গরীব অসহায় লোকজনের পক্ষে সম্বব নয়। প্রায় ১০বছর ধরে ৩০০/৩৫০ ফুট নলকূপে পানি সংকট দেখা দিয়েছে।এখন সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের বিতরণকৃত মোটরসহ গভীর নলকুপই হয়েছে ভুক্তভোগীদের একমাত্র ভরসা।যার বাড়িতে এমন নলকুপ আছে তার বাড়ি থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

নদী নালা খাল বিল দখল, দূষণ আর ভরাটের কারণে পানির স্থর নেমে যাচ্ছে। ফলে বোরো ধান চাষাবাদে কৃষকদের হাহাকার আর পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হচ্ছে।বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়।কৃষকের কষ্টের ফসল বোরো ধান আর হয়ে থাকে অকাল বন্যায়।এভাবে দখল আর নদী নালা খাল বিল ভরাট হলে এক সময় বিলীন হয়ে যাবে পানির আবাসস্থল। তাই ভবিষ্যতে গভীর নলকুপেও পানির সংকট দেখা দেবে বলে মনে করছেন সচেতন মহলের লোকজন।

জানতে চাইলে বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, নদী নালা খাল বিল দখল আর ভরাটের কারণে ভরা মৌসুমে পানির সংকট দেখা দেয়।এছাড়াও নরমাল নলকুপে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি খাবার সংকট।এখন আর ওই নলকূপে হাতের চাপে পানি আসেনা। নদী নালা খাল বিল বিলীন হলে ভবিষ্যতে গভীর নলকুপেও পানি সংকট দেখা দেবে বলে তার ধারনা।

জানতে চাইলে উপজেলা হাওর বাঁচাও রক্ষা পরিষদের আহবায়ক সাজিদুর রহমান সুহেল বলেন, নদী নালা খাল বিল দখল ও ভরাটের কারনে উপজেলা বাসিয়া নদী, মাকুন্দা নদী, বড়ভাঙ্গা হাওর, বড়কান্দির বিল ও খাদ্ধোয়ার হাওরে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে নরমান নলকূপে খাবার পানি সংকট ও বোরো ধান চাষাবাদ ব্যাহক হচ্ছে।

স্থানী এমপি মোকাব্বির খান মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, নদী নালা খাল বিল ভরাট ও দখলের কারণে উপজেলার সর্বত্র তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে এসকল নদী নালা খাল বিল উদ্ধার ও খননের জন্য উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আসছেন।কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছেনা।ভবিষ্যতে তার ক্ষমতা অনুযায়ী চেষ্টা করে যাবেন।