ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৮৬

নগরের ‘অসেচতন’ বাসিন্দাদের প্রতি কঠোর বার্তা দিলেন আরিফ !

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সিলেট মহানগরের মূল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি জলাবদ্ধতা। অল্প কিংবা ভারি, বৃষ্টি যেরকমই হোক, মহানগর হয় জলমগ্ন। পানি ঢুকে পড়ে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে। ফলে বৃষ্টির মৌসুমে মহানগরবাসীর দুর্ভোগ হয় সীমাহীন। গত কয়েক বছরে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ঘটিয়েও জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্ত হয়নি সিলেট মহানগর।

 

তবে সেই দুর্ভোগ লাঘবে এবার শীত মৌসুমেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সম্প্রতি তিনি মাঠে নেমেছেন টিম নিয়ে। এই টিমের লক্ষ্য, মহানগরের সমস্ত ছড়া-খাল উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা; যাতে দ্রুত পানি নেমে যায় সুরমা নদীতে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পাশাপাশি মহানগরবাসীর প্রতি নোটিশও জারি করেছেন মেয়র আরিফ। নোটিশে বলা হয়েছে- ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে কেউ মহানগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। এ অপরাধে যে দোষী সাব্যস্থ হবেন তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।  

সোমবার গণমাধ্যমে সিসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে- রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এবং ছড়ায় কোনো অবস্থাতেই ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। ফেললে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, জলাবদ্ধতা এবং বন্যা হয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। এমতাবস্থায়, রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত ও ছড়ায় ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। রাস্তা ও ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী বা ব্যবসায়িক মালামাল না রাখার জন্যও অনুরোধ করা হলো। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেললে কিংবা রাস্তা ফুটপাতে মালামাল রাখলে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।’’

সিসিক সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি ছড়া প্রবাহমান। এসব ছড়ার ১৬টি শাখা ছড়াও (খাল) আছে। এসব ছড়া-খাল সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ছড়া-খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এর বাইরে নালা-নর্দমা আছে ৯৭০ কিলোমিটার। ছড়া-খাল উদ্ধার, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, ছড়া-খাল ও ড্রেন পরিষ্কারে গত প্রায় এক যুগে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যা তবু রয়েই গেছে।

সম্প্রতি মেয়রের সভাপতিত্বে সিসিকের সর্বশেষ সাধারণ সভায় আগামী বর্ষা মৌসুম এবং নগরীর জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় কাউন্সিলরগণ অভিমত দেন, নগরের সমস্ত ছড়া-খাল দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে, এগুলোর পানি প্রবাহে যতো প্রতিবন্ধকতা আছে তা অপসারণ করতে হবে। তাহলে বৃষ্টির পানি দ্রুত ছড়ার মধ্য দিয়ে সুরমায় গিয়ে পড়বে। ফলে জলাবদ্ধতার শঙ্কা অনেকটাই কমে আসবে।

নগরীর ছড়া-খালের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। সাব-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। সদস্য হিসেবে আছেন কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন ও এসএম শওকত আমিন তৌহিদ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই সাব-কমিটি গত মাসে সরেজমিনে নগরের সকল ছড়া পরিদর্শন করেছে। এরপর ছড়ায় থাকা দখলদারদের উচ্ছেদে মত দেয় কমিটি। সে প্রেক্ষিতে গত ১১ জানুয়ারি মহানগরের গোয়ালিছড়ায় থাকা দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সিসিক।

এ অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নগরের ‘অসচেতন বাসিন্দাদের’ প্রতি কঠোর বার্তা দিলো সিসিক।

এ বিষয়ে সম্প্রতি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা ছড়াগুলো উদ্ধার করে পরিষ্কার করতে চাই। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের সাব-কমিটি রয়েছে, তাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ চলছে। উদ্ধার অভিযান, উচ্ছেদ অভিযান চলবে। ছড়া, ড্রেন পরিষ্কার করার কাজও চলবে।’

মেয়র বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলরগণ তিনদিন সমস্ত ছড়াগুলো পরিদর্শন করেন। গোয়ালিছড়ায় তারা দেখতে পেয়েছেন, ছড়া থেকে সুরমা নদীতে গিয়ে যে পানিটা পড়বে, সে জায়গা শুকনো। কিন্তু এর পেছনে ছড়ায় পানি প্রায় ৯ ফিট। আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি- সবজি বাজার, অবৈধ দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা ফেলে ছড়াকে পুরোপুরি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ছড়ার দুটো এক্সিট পয়েন্ট আছে পানি যাওয়ার, এর মধ্যে একটা সম্পূর্ণ বন্ধ, আরেকটা আংশিক বন্ধ। কাজেই বর্ষা আসার আগে আমরা এগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে চাই। এজন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে।’

মেয়র আরও জানান, সোবহানীঘাটের সবজিবাজার থেকে ময়লা-আবর্জনা ছড়ায় ফেলা হয়। এই সবজিবাজার দক্ষিণ সুরমায় সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার