ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
২১০

মৌলভীবাজার : যেখানে শামুকখোল পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২  

বেশ দূর থেকেই পাখির ডাক ভেসে আসছিল। কাছে যেতেই নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটা শামুকখোলের ডাক। কুয়াশামাখা সকালে গাছের ডালে বসে, ডোবার মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের এই ডাকাডাকি চলছে। প্রায় ছয়-সাত বছর ধরে শীত এলেই গ্রামের পিঠাপিঠি স্থানটির কিছু গাছ ও ডোবাকে আশ্রয় করে তাদের এই শীতযাপন চলে।

গ্রামবাসীর কাছেও এই দৃশ্য আর দশটা বিষয়ের মতোই পরিচিত। কেউ ইচ্ছা হলে তাকান, একটু থমকে দাঁড়ান। না হয় নিজের কাজে মন দেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা গ্রামের মনু নদ সেচ প্রকল্পের খালের পাড়ের কিছু গাছ এবং খালের পাশের ডোবা-ঝোপই এই শামুকখোলের আনন্দযাপনের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে।

গতকাল বুধবার সকাল সাতটার দিকে সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট-নতুন ব্রিজ সড়কের একাটুনা বাজার পার হতেই পাখির ডাক কানে আসে। কাছাকাছি হতেই চোখে পড়ে একাটুনা গ্রামের উত্তর পাশের মাঠ, জলাভূমি এবং মনু নদ প্রকল্পের সেচ খালের পাড়ে কিছু গাছের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অর্ধ শতাধিক শামুকখোল পাখি। কিছু পাখি মাঝারি উচ্চতার রেইন-ট্রি, কদম ও বুনো গাছের চূড়ায় বসে আছে। কিছু খালের পাশের ডোবা জমির লম্বা ঘাস ও কচুরিপানার ঝোপে, কাদা জমিতে দাঁড়িয়ে। কিছু পাখি এদিক-ওদিক ছুটে খাদ্য খুঁটছে। কখনো জলাভূমি থেকে উড়াল দিয়ে গিয়ে গাছে বসছে। কিছু সময় পর আবার গাছ থেকে মাঠের জলাভূমিতে নেমে আসছে। সঙ্গে আছে সাদা ও খয়েরি-ধূসর বক, শালিক, ঘুঘু, হট্টিটিসহ আরও কিছু পাখি।

পাখিদের দখল-সত্ত্বের স্থানটির পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে গ্রামের বাড়িঘর, একাটুনা বাজার। উত্তর দিকে প্রশস্ত ধানের মাঠ। সকালবেলা ঘুরতে বের হওয়া একাটুনা গ্রামের মো. ইমরান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার-পাঁচ বছর আগেও কেউ কেউ পাখি শিকার করত। নিষেধ করার পর এখন আর কেউ শিকার করে না। শিকার করলে পাখিরা এখানে আসত না। সারা দিনই এখানে পাখি থাকে। কেউ তাদের বিরক্ত করে না। আশপাশের অনেক বাড়িতেও গিয়ে বসে। আমাদের বাড়ির শিমুল গাছে বছর দুয়েক আগেও থাকত। এরা প্রতিবেশীর মতো হয়ে গেছে। শীতকাল এলেই চলে আসে। বর্ষা শুরু হলেই চলে যায়।’

পরিবেশকর্মী রাজন আহমদ বলেন, ‘কিছুদিন থেকে শামুকখোলের দলটিকে দেখছি। অনেক পাখি। কখনো মাঠের দিকে উড়ে যায়। কখনো গাছে বসে থাকে। খুবই ভালো লাগে। পাখিরা যাতে নিরাপদ থাকে, সেই দিকে খেয়াল রাখা দরকার।’ সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘এখানে পাখি শিকার বন্ধ। কেউ পাখি শিকার করে না।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এশীয় শামুকখোল এই দেশে আর পরিযায়ী পাখি না। স্থানীয় পাখিই। পরিবেশ কিছুটা অনুকূলে থাকায় সারা দেশের আনাচকানাচ জলাভূমির আশপাশে পাখিটিকে দেখা যায়। এরা ঝাঁক বেঁধে চলে। এশীয় শামুকখোল আকারে বেশ বড়সড় জলচর পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৮১ সেন্টিমিটার, ডানা ৪০ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ১৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, লেজ ২০ সেন্টিমিটার ও পা ১৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ একদম সাদা দেখায়। কাঁধ-ঢাকনি, ডানার প্রান্ত-পালক, মধ্য পালক ও লেজ সবুজাভ কালো। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রকৃতি সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) পাখিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্থানটি দেখে আসব। স্থানীয়ভাবে মানুষকে পাখিগুলো সংরক্ষণে সতর্ক করার পাশাপাশি সেখানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপনসহ যা কিছু করা দরকার, তা করা হবে।’

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার