প্রস্তুতি শেষের দিকে, সিলেটে এবার দুর্গাপূজা ৬১০ মণ্ডপে

সিলেটে এবার দুর্গাপূজা হবে ৬১০টি মণ্ডপে। এরমধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মণ্ডপ ৪৫৭টি। মহানগরীতে পূজা হবে ১৫৩টি মণ্ডপে।

বাঙালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শরৎকালে এই পূজা হয় বলে একে শারদীয় দুর্গোৎসবও বলা হয়। দুর্গাপূজার  আরেক নাম আছে। তা হচ্ছে অকালবোধন।

মহালয়ার মধ্যদিয়ে এবারের দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনের এই মহোৎসব।

এবার সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাড়া অন্য ১২টি উপজেলায় পূজা হবে মোট ৬১০টি মণ্ডপে। এরমধ্যে পারিবারিক পূজামণ্ডপ ৩১টি।

এবার সবচেয়ে বেশী মণ্ডপ জকিগঞ্জ উপজেলায়, মোট ৯৯টি। সবগুলোই সার্বজনীন। এ উপজেলায় পারিবারিক কোন পূজামণ্ডপ নেই এবার।

এরপর গোলাপগঞ্জ উপজেলা, মোট পূজামণ্ডপ ৬০টি। এরমধ্যে পারিবারিক পূজা ৩টি।

অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে বালাগঞ্জে ২৮টি সার্বজনীন ও দুটি পারিবারিক, কানাইঘাটে ৩৫টি মণ্ডপের সবগুলোই সার্বজনীন, জৈন্তাপুরে ২০টি সার্বজনীন ও দুটি পারিবারিক, ফেঞ্চুগঞ্জে ৩৭টি মণ্ডপের সবগুলোই সার্বজনীন, বিশ্বনাথে ২৪টি সার্বজনীন ও দুটি পারিবারিক, গোয়াইনঘাটে ৩৬টির সবগুলোই সার্বজনীন, বিয়ানীবাজারের ৩৯টি সার্বজনীন ও ১৩টি পারিবারিক,  কোম্পানীগঞ্জে ২৫টি সার্বজনীন ও ১টি পারিবারিক এবং ওসমানীনগরে ২৬টি সার্বজনীন ও ৮টি পারিবারিক মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলাসহ সিলেট সিটি মহানগর পুলিশের ৬টি থানায় মোট ১৫৩টি মণ্ডপে পূজা হবে। এরমধ্যে সার্বজনীন ১৩৪ ও পারিবারিক ১৯টি।

কোতোয়ালী থানা এলাকায় সার্বজনীন পূজা ২৯ ও পারিবারিক ১১, জালালাবাদ থানা এলাকায় সার্বজনীন ১৬ ও পারিবারিক ৪, এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় সার্বজনীন ৩৯ ও পারিবারিক ১, শাহপরাণ (র.) থানা এলাকায় সার্বজনীন ২১ ও পারিবারিক ১, দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় কোন পারিবারিক পূজা না থাকলেও সার্বজনীন ১৪ ও মোগলাবাজার থানা এলাকায় সার্বজনীন ১৫ ও পারিবারিক ২টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুর্গাপূজার আর মাত্র ৫দিন বাকী। এখন মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পারিবারিক কেনাকাটা অনেকেরই শেষ।

তিনি আরও জানান, বরাবরই সিলেটে দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এবারও তা হবে। পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিট এবং প্রশাসন সার্বিক সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।

তিনি সিলেটবাসীসহ সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।