ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১৪৭

অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হলো কালা পাথর বাঁধ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২  

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর লিজ বহির্ভুত জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বিলীন হয়ে গেছে ঢালার পাড় রক্ষাকারী কালাপাথর বাঁধ। ১৯৯৩ সালে নির্মিত এই বাঁধ ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই বাঁধের দৈর্ঘ্য ছিল ৫০০ মিটার। বাঁধটি এতটাই সংরক্ষিত ছিল যে এই বাঁধের পাথর নেওয়ার দায়ে মানুষ জেলও খেটেছে। বালুখেকোদের কবলে পড়ে এখন অতীত হয়ে গেছে ঢালার পাড় রক্ষাকারী কালা পাথর বাঁধ। এতে ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে ঢালারপাড় গ্রাম। বাঁধ থেকে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় একজন মহিলাকে মারধরও করেছে বালুখেকোরা।

অবৈধভাবেবালু উত্তোলন হলেও প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলেও তাতে মন গলাতে পারেননি তারা। কোন এক অদৃশ্য কারণে নিরব প্রশাসন। প্রতিদিন পুলিশের ২টি টহল টিম সেখানে পাহাড়া দেয়। যাতে কেউ লিজ বহির্ভুত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতে না পারে। লিজ বহির্ভুত জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান থাকার কথা সেই পুলিশের পাহারায়ই বৈধ হচ্ছে এসব বালু উত্তোলন। ইজারাদার বললেন, কালা পাথর লিজের বাহিরের অংশ এটা রক্ষা করবে ওসি, ইউএনও, প্রশাসন। ওসি বললেন কেউ কোন অভিযোগ দেয় নি।

গত বৃহস্পতিবার উত্তর রাজনগর গ্রামের নয়ন বানু বাধা দিয়ে ছিলেন লিজ বহির্ভুত কালা পাথরের বাঁধ থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করতে। বাঁধ বিলিয়ন করার পরও সেখান থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নয়ন বানুর বসতভিটা। তাই অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময় বালুখেকোরা তাকে মারধর করে। নয়ন বানু সেখানেই জ্ঞান হারালে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।

নয়ন বানু জানান, আমার বাড়ি নদীর পাড় ঘেঁষা। কালা পাথরের বাঁধ বিলীন করার পর এখন আমার বাড়ির পাশ থেকে বালু উত্তোলন করতে শুরু করেছে বালুখেকু চক্র। আমি সেখানে বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর করে আহত করেছে। আমি কারো কাছ থেকে কোন বিচার পাচ্ছি না। এখন আমার বসতভিটা বিলীন হওয়ার পথে।

একই গ্রামের শাহেনা বেগম জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন করার কারণে হুমকির মুখে আমার বাড়ি। যে কোন সময় বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা বাধা দিতে গেলে বালুখেকোরা ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে সেখানে তারা সাগর করবে কারো আটকানোর ক্ষমতা নাই।

১৯৯২-৯৩ সালে তৎকালীন সিলেট-১ আসনের এমপি খন্দকার আব্দুল মালিক এই বাধঁটি নির্মানের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন। মূলত বৃহত্তর ঢালার পাড় রক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল এই বাঁধ। বাধঁটি নির্মাণের পর ঐ এলাকা আর ভাঙ্গনের কবলে পড়েনি। বাঁধটিকে ঘিরে একটি রাস্তাও নির্মাণ করা হয়। যেটি রাজনগর ও ঢালার পাড়কে সংযুক্ত করেছে। বালু খেকুরা অবৈধ ভাবে কালা পাথরের বাঁধ ভেঙ্গে বালু ও পাথর নিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এই সড়কটি। সড়কের পাশ ঘেরা ঢালারপাড় গ্রাম। একটু বন্যাতেই এখন ভিটে মাটি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী।

২০০২ সালে এই কালা পাথর বাঁধ থেকে ৪৬০ ফুট পাথর বিক্রির অপরাধ দেখিয়ে ঢালারপাড় গ্রামের মোঃরফিকুল ইসলাম ও ইদ্রিস আলী এবং উত্তর রাজনগর গ্রামের সৈয়দ রব্বানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় এক সপ্তাহ জেলও খাটেনমোঃরফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ ৬ বছর পর তারা মামলা থেকে মুক্তি পান। স্পর্শকাতর এই বাঁধটি থেকে দিনে দুপুরে বালু-পাথর উত্তোলন করে ধ্বংস করে দিল অবৈধ বালু খেকুরা।

কালা পাথর বাঁধের জন্য জেল খেটে আসা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আফসোস একটি এলাকা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে বালু লুট করা হচ্ছে। যেই বাঁধের জন্য মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আমাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল সেই কালা পাথর বাঁধ বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বিলীন করে দেওয়া হলো। কেউ একটি প্রতিবাদও করছে না। একটু বন্যা হলেই ঢালারপাড় গ্রামের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ধলাই নদীর বালু মহালের ইজারাদার মজির উদ্দিন বলেন, কালা পাথর লিজের বাহিরের অংশ। সেখান থেকে আমাদের কোন নৌকা বালু উত্তোলন করছে না। স্থানীয় কেউ বালু উত্তোলন করালে সেটা আমাদের দায় নয়। প্রশাসন সেটা দেখার কথা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। পুলিশের ২টি টিম নদিতে তাহলে কেন টহল দিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি মুঠফোনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগত প্রকাশ করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক জানান, লিজ বহির্ভুত জায়গা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন হয়ে থাকলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার