ফেঞ্চুগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তি

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুটি কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। একটি কমিটি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এবং অপরটি জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি কমিটিকে কেন্দ্র করে শীর্ষ দুই পদ প্রত্যাশীদের অনুসারীরা ফেসবুকে একে অপরকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্য করছেন। 

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত আশরাফুল হাসান চৌধুরী কামরানকে সভাপতি ও নাহিদ সুলতান পাশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়; যা গত রোববার সকালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ স্বাক্ষরিত প্যাডে আশরাফুল হাসান চৌধুরী কামরানকে সভাপতি ও জুনেদ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আংশিক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠায়। সেই কমিটিতে কামরানকে সভাপতি ও জুনেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। 

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ বলেন, গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি ফেঞ্চুগঞ্জসহ দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গত ৬ মার্চ আমরা জেলা সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠিয়েছিলাম।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ বলেন, কেন্দ্র আমাদের অভিভাবক। কেন্দ্র যে কমিটি দিয়েছে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। জেলা সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত যে কমিটি হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট করা হচ্ছে, তা আমরা জেলা সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করতে ঐকমত্য হতে পারিনি বিধায় কেন্দ্রীয় দপ্তরে আমরা প্রাথমিকভাবে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলাম।