শাবিপ্রবিতে আন্দোলন: নেপথ্যে কারা?

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া কর্মসূচি এখন রূপ নিয়েছে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা এখন এতটাই অনড় যে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ২৮ জন। শিক্ষকদের আলোচনার সব প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা।

কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেলো, একটি হলের কয়েকজন ছাত্রীর ছোট আন্দোলন এমন ব্যাপক আকার ধারণ করার পেছনে তৃতীয় পক্ষের নিশ্চিত ইন্ধন রয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহিরাগতদের ইন্ধনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি দ্রুত ঘোলাটে হয়ে উঠছে। তারা চাইছে, নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জেরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করার পর পরই প্রকাশ্যে আসে বহিরাগতদের আনাগোনার কিছু ছবি। এবং কিছু শিক্ষার্থীর সাথে বহিরাগতদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ আছে বলেও জানা যায়। যারা আন্দোলনের আর্থিক যোগান দিচ্ছেন বলেও কিছু শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন।

এর মধ্যে আরেকটি খবর নজরে এসেছে। ২৪ জানুয়ারি (সোমবার) শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টাকা যোগান দেয়ার অভিযোগে সিআইডি’র একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ০৫  শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। যারা বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। তবে পুরো বিষয়টি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখছে সিআইডি’র ওই বিশেষ দল। 

ঘটনাস্থল থেকে সিলেট সমাচারের প্রতিবেদক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছাড়াও এই আন্দোলনের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে তৃতীয় পক্ষের লোকজন। যারা সবাই-ই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।