ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৮১

আন্দোলনের প্রকৃতি ও নৃশংসতা অভিমানী কোন অস্তিত্বের ইঙ্গিতবহ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২  

গেল কিছুদিন থেকেই উত্তপ্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের কিছু ছাত্র ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন এখন অনশন পর্যন্ত গড়িয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে অনেকেই কথা বলছেন।

ভিসির পদত্যাগকেই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন। অনেকেই আবারও উল্টো কথা বলছেন। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা উপ মন্ত্রী আন্দোলনকারীদের  এই দাবিকে অযৌক্তিক বিবেচনায় সমাধানের পথ নয় বলে মন্তব্য করেছেন। সময় যতো যাচ্ছে শাবিপ্রবির আন্দোলনকারীরা বেপরোয়া, বিশৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছেন।  

ভিসির বাসভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।  আন্দোলনকারীদের বাধায় শিক্ষকদেরকে ভিসির সাথে দেখা করতে দেওয়া হয় নি। ভিসির বাস ভবনে রসদ,খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ভিসি বাসভবনে গুরুতর  অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অসুস্থ হলেও তার জন্য  চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যেখানে  স্থানীয় সিলেটের শিক্ষার্থীরা সংখ্যায় খুবই কম। অনশনরত ২৪ জনের সাথে নতুন যোগ দিয়েছেন আরো ৪ জন। অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে মেডিক্যাল টীমের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 
 
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে জুস খাওয়ানোর সর্বশেষ চেষ্টা করেও শাবিপ্রবির শিক্ষকরা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। শিক্ষার্থীদের দেশ ও বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হতো। সেটিও বন্ধ আছে।

একদিকে ২৮ জন অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে শাবিপ্রবির আরো কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী। বাকিরা নীরব দর্শক। অন্যদিকে ভিসির পক্ষে, শাবিপ্রবির প্রভোস্ট, প্রক্টোরিয়াল বডি,শিক্ষক সমিতি, সকল শিক্ষকেরা ও।

এমন অবস্থায় আন্দোলন পর্যবেক্ষণকারী অনেকেই বলছেন, তাহলে কি ভেস্তে যাচ্ছে অনশনকারীদের আন্দোলন ?

দিন যত যাচ্ছে আন্দোলনের প্রকৃতি পাল্টাচ্ছে। কিছু উস্কানিমূলক কাজে শিক্ষার্থী আরও  নৃশংসতায় জড়িয়ে পড়ছে। অনশন না ভাঙা এই জেদি মনোভাব তাদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  

শাবিপ্রবির  আন্দোলনরত ছাত্ররা এতোটাই বেপরোয়া যে ভিসির বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মত অমানবিক ও বেআইনি কাজ করতেও দ্বিধা করেনি। এখন নাকি তারা সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্বও পালন করছে। তাদের সাথে সংহতি জানাতে ও চিকিৎসা করতে ঢাকা থেকে বিএনপির ডাক্তার ছুটে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে,  কেন সিলেটে কি ডাক্তার নেই? ওরা কি চিকিৎসা পাচ্ছে না? কেউ কেউ বলছেন,  আসলে চিকিৎসার আড়ালে ষড়যন্ত্র করতে এসেছে। 

প্রশ্ন হচ্ছে ভিসির অপরাধ কি? এবিষয়ে সিলেটের কিছু বিশিষ্টজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আন্দোলন ছিল প্রভোস্টের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে। পদত্যাগ হয় স্বেচ্ছায় আর অপসারণ করে কর্তৃপক্ষ। অপসারণ করতে হলেও একটা প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়। সেজন্য সময় লাগে। আর পদত্যাগ যেকোনো সময় যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় করতে পারেন। ইতোমধ্যে সেই প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ভিসিকে দায়ী করা ঠিক না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  ১৩ জানুয়ারি রাতে একটি হলের ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে। কিন্তু দু'দিন না যেতেই কথা নেই, বার্তা নেই ভিসিকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হলো একটি ভবনে। যা বেআইনী ও ফৌজদারি অপরাধ। পুলিশ দায়িত্ববোধ থেকেই হোক কিংবা ভিসির নিজের জীবন বাঁচাতেই হোক পুলিশ কল করায় পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এই উদ্ধার অভিযানে পুলিশ যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার তদন্ত করে বিচার হওয়া উচিত। আর ছাত্ররা যদি বাড়াবাড়ি করে সেটারও বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু একজন মানুষ তাঁর জীবন বাঁচাতে পুলিশের সহায়তা চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক। 

আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছেন এরকম কয়েকজনের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, পুলিশ তার দায়িত্ববোধ থেকে রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করবে সেটাও স্বাভাবিক। জীবন বাঁচানো কি অপরাধ? সেজন্য ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে কেন? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ঠিকই বলেছেন এটা হলো শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। শিক্ষা উপ মন্ত্রীর কথাই  সঠিক - ভিসির পদত্যাগ দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার