ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাবেন যেভাবে

গ্রীষ্মের ফলের মধ্যে স্বাদ ও পুষ্টিতে এগিয়ে আম। কাঁচা-পাকা আমে চাটনি, জ্যাম, জেলিসহ কত কী তৈরি হয়! তবে পাকা আম খেতে কিছু তৈরি না করলেও চলে; এটি এমনিতেই সুস্বাদু। সুমিষ্ট ও রসালো এই ফল প্রায় সবারই পছন্দের তালিকায়। কিন্তু মিষ্টি স্বাদের বলে সবার আগে প্রশ্ন আসে, ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন?

আমের ৯০ শতাংশ ক্যালোরির উৎস চিনি। ফলে অতিরিক্ত আমে বাড়তে পারে রক্তে চিনির মাত্রা। আম কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই এটি কমিয়ে আনতে পারে রক্তে শর্করার প্রভাব। একটি আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১, যা কম হিসাবেই ধরা হয়। আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। স্ট্রেস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। তাই স্ট্রেস কমলে কমে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও।

এদিকে আমে থাকা ফাইবার কমিয়ে দেয় রক্তে চিনি শোষিত হওয়ার হার। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আম খেতে পারবেন।

ডায়বেটিস রোগীরা আম খাবেন যেভাবে : পরিমিত আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। তবে খেয়াল রাখবেন আম যেন তাজা হয়। আমে চিনির পরিমাণ কম থাকে। খেতে যতই ইচ্ছা করুক, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা দিনে ২-১ টুকরার বেশি আম খাবেন না। ছোট ছোট করে সালাদের মতো করেও খেতে পারেন।

আম খাওয়ার উপকারিতা : আমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন এ, বি ফাইভ, বি সিক্স, সি, ই এবং কে। সঙ্গে আছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। সুমিষ্ট এই ফলে ক্যালোরি অনেক কম। আমে ভিটামিন সি থাকায় এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আম খেলে শরীরে আয়রণ শোষণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর প্রায় ৭০ শতাংশই পাওয়া যাবে আমে।

ডায়াবেটিস হলেও আম থেকে দূরে থাকা যায় না। তাই এটি খেতে হলে নিশ্চিত করুন যেন আপনার চিনি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেজন্য স্বাস্থ্যকর ও ফাইবার সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।