বন্ধ্যাত্বের দায় কার, নারী না পুরুষের?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ২ মে ২০২১
দেশে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ দম্পতি বন্ধ্যাত্বে ভোগেন। ৪৫-৫০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ দায়ী থাকলেও যুগ যুগ ধরে সমাজ এর দায় চাপিয়ে আসছে কেবলই নারীর ঘাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুরুষের শতভাগ সহযোগিতা থাকলে বন্ধ্যাত্ব সমস্যার সমাধান সহজ হতো।
বন্ধ্যাত্ব নিয়ে কথা বলেছেন বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ও অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সদ্য নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম।
প্রশ্ন: বন্ধ্যাত্ব শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে নারীর অবয়ব ফুটে ওঠে। বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে পুরুষ কতটা দায়ী এবং তারা যদি দায়ী হয়ে থাকে তবে এর কারণ কী?
অধ্যাপক রাশিদা বেগম: বন্ধ্যাত্ব শব্দটি শুনলে নারীর চেহারা ভেসে ওঠে এটা ঠিক। আমাদের দেশে এটাই প্রচলিত যে বন্ধ্যাত্ব নারীর সময়। আসলে বাচ্চা হতে নারী-পুরুষ উভয়েরই অংশগ্রহণ রয়েছে। যদি বাচ্চা না হয় তাহলে ছেলে বা মেয়ে যে কারও দায় থাকতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেলে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েদের দায় থাকে এবং এই সংখ্যা প্রায় সমানে-সমান। আবার আরেকটি সমস্যা আছে যেটা ব্যাখ্যাহীন। যেটাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে কারও কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু সমস্যা হয়তো আরও গভীরে।
প্রশ্ন: কোনো কোনো ক্ষেত্রে কী এমন হয় যে চিকিৎসা নেওয়ার পরও সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়, এই হার কেমন?
অধ্যাপক রাশিদা বেগম: এখানে তো একটু ধর্মীয় কথা বলতে হয়। আল্লাহ বলেছেন, আমি কাউকে পুত্রসন্তান দেব, কাউকে কন্যাসন্তান দেব, কাউকে উভয়ই দেব, আবার কাউকে কিছু দেব না। আসলে আল্লাহ কার কপালে কী লিখেছেন, তার ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: আইভিএফ পদ্ধতির অনেক সেন্টার বাংলাদেশে আছে। যেখানে সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে আপনারা দাবি করছেন। সবার ক্ষেত্রে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ (বা-মায়ের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ল্যাবে নিষিক্ত করে ইনজেকশনের মাধ্যমে আবার মায়ের গর্ভে স্থাপন করা) পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে কি না?
অধ্যাপক রাশিদা বেগম: অবশ্যই সবার আইভিএফ লাগে না। মাত্র ১০ শতাংশের আইভিএফ দরকার হয়। বাচ্চা না হওয়ার অনেক কারণ আছে। ওভারি সিস্ট হয়, ইউটেরাস টিউমার, পলিপ থাকে; ল্যাপ্রোসকপি, ডিল্রিং, সিস্টটেকটমি, মায়োমেকটমি অপারেশনের মাধ্যমেই এগুলো দূর করা সম্ভব। এসব ঠিক করে দিলে বাচ্চা হতে পারে। যে কোনো একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ এসব অপারেশন করতে পারেন। সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতালে এসব সুবিধা রয়েছে।
এ ছাড়া বড় একটা অংশ যাদের ডিম্বাণু তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে খুব নামমাত্র খরচের একটা খাবার ট্যাবলেট খেয়েই এই সমস্যার সমাধান হয়। ওভালুশেন হলেই গর্ভধারণের হার বেড়ে যায়। এভাবেই ৯০ শতাংশ রোগীদের গর্ভধারণ সম্ভব। বাকি থাকে ১০ শতাংশ। এই ১০ শতাংশের মধ্যে সিরিয়াস পর্যাযের যারা রয়েছে, যদি কারও বাইলেটারাল টিউবাল ব্লক হয় বা ড্যামেজ হয়, যদি টিউবগুলো কাটা পড়ে যায় এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে সমস্যার সমাধান করা যায় না। এক্ষেত্রে তৃতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ছেলেদের শুক্রাণুর পরিমাণ যদি কম থাকে, শুক্রাণুটির মর্টালিটি যদি বেশি থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে বীর্যে শুক্রাণু একদমই আসে না এদের জন্য টেস্টটিউব বেবি বা আইভিএফ প্রয়োজন।
সময় নিউজ: বাংলাদেশে যতগুলো আইভিএফ সেন্টার আছে, সেসব জায়গাতে দক্ষ জনবল আছে কি না? যদি না থাকে তবে এই দক্ষ জনবল তৈরির কাজ কতটা জোরালোভাবে তৈরি করা উচিত?
অধ্যাপক রাশিদা বেগম: অবশ্যই জোরালোভাবে হওয়া উচিত। বেশির ভাগই ক্ষেত্রে ভারত থেকে এই জনবল নিয়ে আসা হয়। বাইরের এক্সপার্ট দিয়ে কাজ করে বেশিদূর আগানো যাবে না। কোয়ালিটিও ভালো হয় না। যারা আসে, তারা বিমানে আসে এবং কাজ করেই চলে যায়, কারণ ফ্লাইটের টাইমেরও একটা ব্যাপার আছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব তারা যেন এমব্রায়োলজিস্ট হওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। এটা খুবই ইন্টারেস্টিং কাজ। আমি নিজেও একজন এমব্রায়োলজিস্ট। এটা খুবই চমৎকার, আর্টিস্টিক কাজ। শুধু ডাক্তার নয়, জুলোজি, হেলথ সায়েন্স, জেনেটিং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেলেমেয়েরাও এই দিকে আসলে খুব ভালো করবে।
- অজুতে পানি অপচয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী সা.
- পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালকে ওয়্যারহাউজিং স্টেশন ঘোষণা
- নিবন্ধনহীন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান আইজিপির
- প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৭ দিন
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- দেখার হাওড়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী
- সিলেটে ২১ এপ্রিল থেকে কোভিডের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান
- কোম্পানীগঞ্জে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- এমসি কলেজের স্থাপনাসহ সিলেটের প্রত্নস্থল সংরক্ষণের আহবান
- প্রচ্ছদ শিল্পী ও লেখক ধ্রুব এষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
- ইংল্যান্ডে পড়তে যেতে সিলেটি শিক্ষার্থীদের যা জানতেই হবে
- সিলেটে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- সিলেটে প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে পালন
- সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ
- খাদ্য-পুষ্টি নিশ্চিতে গবেষণা অগ্রাধিকার পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
- শান্তিগঞ্জে হাঁসে ধান খাওয়া নিয়ে দু`পক্ষের সংঘর্ষ :নিহত ১
- আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই
- দেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত- বিবিএসের জরিপ
- সুনামগঞ্জের ফ্লাওয়ার লেকে ছুটছেন দর্শনার্থীরা
- মৌলভীবাজার সমিতি সিলেটের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- সিলেটে ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর জুটিতে তিনশ ছাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার লিড
- বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে স্মার্টের দিকে এগোচ্ছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- সিলেটে সরাসরি ইন্টারভিউ, দুবাইয়ে কর্মী নিয়োগ
- ২২ বছর পর সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি
- বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- দোকানে-দোকানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের
- নিসচা সিলেট জেলার আহবায়ক মিশু, সদস্য সচিব হায়াত
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম