ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৫৪৪

‘শাওমির কারখানায় এক হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে’

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২  

বাংলাদেশে স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক পণ্য শিল্পের ভবিষ্যৎ কেমন বলে আপনারা মনে করছেন? এই সেক্টরে দেশে ভবিষ্যতে বছরে কত হাজার লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার গতিপথে পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে আমাদের কর্মকাণ্ড এখন অনেকাংশেই মোবাইলকেন্দ্রিক। তাই বিনা দ্বিধায় বলা যায়, বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রসারের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে বর্তমানে বছরে আড়াই থেকে তিন কোটিরও বেশি মোবাইল ফোনের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণে দেশে এরই মধ্যে অন্তত ১২টি ব্র্যান্ড স্মার্টফোন কারখানা চালু করেছে। সব ব্র্যান্ডই এখন হ্যান্ডসেট তৈরি করছে পুরোদমে। ফলে খাতটি এখন অন্য যেকোনো উল্লেখযোগ্য খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় একটি খাতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান জীবনযাত্রার ওপর স্মার্টফোনের প্রভাব আমাদেরকে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস বা বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযুক্তি) কেন্দ্রিক জীবনধারার দিকেই ধাবিত করবে। আর এই জীবনধারার মূলে থাকবে স্মার্টফোন। আমাদের দেশের অর্থনীতিও বড় হচ্ছে, বাড়ছে জিডিপি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান। তাই আমি মনে করি, মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোন ব্যবসার ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এখানে ব্যপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সব মিলিয়ে আপনাদের কর্মিসংখ্যা এখন কত? নিকট ভবিষ্যতে বড় পরিসরে কর্মী নিয়োগের কি কোনো পরিকল্পনা আছে?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : সম্প্রতি বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে শাওমির ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ জার্নি শুরু করেছে। শাওমির স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং পার্টনার হিসেবে গ্লোবাল ইএমএস কম্পানি ডিবিজি কাজ করছে। কারখানা চালুর মাধ্যমে আমরা এরই মধ্যে বড় একটা নিয়োগ দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে কারখানাটিতে এক হাজারের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। আমরা কারখানায় যে নিয়োগ দিচ্ছি তার ৯৯ শতাংশ বাংলাদেশি। পর্যায়ক্রমে চাহিদার ভিত্তিতে কর্মিসংখ্যা বাড়াব। এটি চলমান প্রক্রিয়া, আমরা ধাপে ধাপে লোক নিয়োগ দেব।

বাংলাদেশে এখন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারের বেশি লোক শাওমি ব্র্যান্ডের জন্য কাজ করছে, যার একটা অংশ কারখানায়। আমাদের উৎপাদন যত বাড়বে, কর্মিসংখ্যাও ততই বাড়বে।

স্মার্টফোন উৎপাদন কার্যক্রমে সাধারণত কোন কোন বিভাগে সবচেয়ে বেশি জনবলের দরকার হয়? কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে আপনাদের স্ট্র্যাটেজি কী?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : কারখানা ছাড়া অপারেশনাল কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কর্মী রয়েছে আমাদের সেলস টিমে। আমাদের ডিভাইসগুলো বিক্রির জন্য দেশব্যাপী ২৭০টিরও বেশি অথোরাইজড মি স্টোর এবং ১৫০০-এরও বেশি অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় শাওমির রয়েছে একটি কল সেন্টার। দেশে ২৩টি অনুমোদিত বিক্রয়োত্তর সেবাকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ৩৯টি কালেকশন পয়েন্টের মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ এলাকায় আমরা সেবা নিশ্চিত করছি।

করোনাভাইরাসের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে। অথচ আমরা কোনো ধরনের ছাঁটাই তো দূরের কথা, সে সময় আমরা আরো কর্মী নিয়োগ দিয়েছি। সেই সঙ্গে সারা দেশে কর্মীদের জন্য নানা ধরনের প্রণোদনাও দিয়েছি। এ সময় আমরা সারা দেশে লজিস্টিকস ও সাপ্লাই চেইন বাড়িয়েছি। সংশ্লিষ্ট টিমকে খুব চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।

আপনাদের বিভাগগুলো কী কী? এসব বিভাগে কোন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডের জনবল সাধারণত বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : স্মার্টফোন উৎপাদনে মূল বিভাগগুলো হচ্ছে—প্রডাকশন, প্যাকেজিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল। এর মধ্যে প্রডাকশন ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগে সব থেকে বেশি জনবলের দরকার হয়। সমগ্র ফ্যাক্টরির ৮০ শতাংশের বেশি জনবল এই বিভাগগুলোতে নিযুক্ত থাকে। এসব জনবলের বেশির ভাগই অপারেটর কিংবা সিনিয়র অপারেটর পদে নিয়োগ পান, এইচএসসি পাস থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

এসব বিভাগে লাইন লিডার বা ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (ইইই, সিএসই, মেকানিক্যাল ইত্যাদি) প্রার্থীদেরও প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ম্যানেজার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (ইইই, সিএসই, মেকানিক্যাল ইত্যাদি) প্রার্থী, যাঁদের সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বা তার বেশি বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মধ্যে রয়েছে—ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, ল্যাব অপারেশন, ম্যাটেরিয়াল কন্ট্রোল ইত্যাদি। এসব বিভাগেও উল্লেখযোগ্য জনবল কাজ করে, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রডাকশন বিভাগের মতোই। কাজের ধরনও প্রয়োজনভেদে নির্ধারিত হয়।

আপনাদের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া কি শাওমির প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তদারকির মাধ্যমে হয়, নাকি এখানকার স্থানীয় দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকির মাধ্যমে পরিচালিত হয়?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : একটি বহুজাতিক কম্পানি হিসেবে শাওমি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। দক্ষ জনশক্তি সংগ্রহের জন্য আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় হেড হান্টিং ফার্মের সঙ্গে অংশীদারি রয়েছে। কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সব কাজ করেন স্থানীয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে প্রার্থীদের শর্টলিস্ট, বাছাই, পরীক্ষা নেওয়া, ভাইভা—সবই স্থানীয় অফিস থেকেই তদারকি হয়।

উল্লেখ্য, শাওমি বাংলাদেশে শুরু থেকেই শতভাগ স্থানীয় লোকবল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। শাওমির অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো— স্থানীয় নেতৃত্ব নিশ্চিত করা। আর সেই বিবেচনায় আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব জনবল স্থানীয়। বাংলাদেশের মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির মধ্যে শাওমি বাংলাদেশ একমাত্র কম্পানি, যা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশি লোকবল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

বেশিসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে, এরকম বিভাগে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া কেমন? লিখিত পরীক্ষা হয়? নাকি মৌখিক ও ব্যাবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে?

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : মূলত যেসব বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হয় সবগুলোর বাছাই প্রক্রিয়া মোটামুটি একই। তবে স্মার্টফোন উৎপাদন কার্যক্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রার্থীদের অন্তত ছয়টি ধাপ পেরোতে হয়।

যেমন—এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বা অফিস স্টাফের ক্ষেত্রে ছয়টি ধাপ পার হলেই শুধু চূড়ান্ত নিয়োগ হয়। এসব ধাপের প্রথমেই থাকে জীবনবৃত্তান্ত বাছাই। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা প্রার্থীদের প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে উত্তীর্ণদের নেওয়া হয় ভাইভা, পরে দেখা হয় টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল স্কিলস, এরপর আবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া।

এ ছাড়া সিনিয়র অপারেটর পদের নিয়োগে বাছাই পরীক্ষায় প্রার্থীদের চার ধাপ এবং অপারেটর পদের ক্ষেত্রে তিন ধাপ পেরোতে হয়, এরপরই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

ফ্রেশারদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়? তাঁদের চাকরির সুযোগ কেমন?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : শাওমি তরুণদের ব্র্যান্ড।  তাই প্রতিষ্ঠানটি সব সময় চায় তরুণ ফ্রেশারদের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে। বাংলাদেশে শাওমি আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু করেছে ২০১৮ সালে। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি দেশে যত কর্মী নিয়োগ দিয়েছে, তার ৯০ শতাংশই ৪০ বছরের কম বয়সী।

তরুণরা যেমন নানা ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন, তেমনি আবার নানামুখী কাজও করতে পারেন। ফলে আমাদের নিয়োগ দেওয়া বেশির ভাগ কর্মীই তরুণ। শাওমি সব সময় তরুণদের মূল্যায়ন করতে চায়। একাডেমিকভাবে ভালো ফলাফল এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক জ্ঞান বা দক্ষতা আছে, এমন ফ্রেশারদের জন্য শাওমির দরজা সব সময় খোলা।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার