ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
২৩৯

মাত্র ১ হাজার টাকায় ঘুরে আসুন এসব জায়গায়

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯  

আমরা রাজধানিবাসী সবাই খুব ব্যস্ত। সময় পেলেই তাই ঘুরে আসাটা আমাদের স্বভাব। কিন্তু একদিনের মধ্যে মাত্র এক হাজার টাকা খরচে ঢাকার আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই ঘুরতে যেতেও পারিনা। আসুন জেনে নেই এক হাজার টাকার মধ্যে ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার কিছু জায়গার নাম।

নরসিংদী নরসিংদীর উয়ারী বটেশ্বর এ বিরাট ধানক্ষেতের পাশে একটি সরকারি গেস্ট হাউস আছে। এটির বৈশিষ্ট্য হলো ২য় তলায় বিশাল রুমটির সামনে বিরাট একটি খোলা ছাদ। অসাধারণ একটি জায়গা। এই গেস্ট হাউজটিতে বুকিং দেয়া একদম সোজা, ভাড়াও কম। বাজার ও রান্নার দায়িত্ব অনায়াসে দেয়া যায় এর কেয়ারটেকারের ওপর।

মহাখালী থেকে বিআরটিসির ভৈরবগামী বাসে বা চলনবিল/অনন্যা সুপার পরিবহণের বাসে উঠুন। ভৈরবের মরজাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে যান। সময় লাগবে দুই ঘণ্টা ভাড়া ১০০ টাকা। সেখান থেকে খনন কার্যের জায়গা যাওয়া যায় সিএনজি করে। প্রতিজন ৩০ টাকা, রিজার্ভ ১২০-১৫০ টাকা।

জল জংগলের কাব্য, পুবাইল, গাজীপুর টঙ্গীর পুবাইলের পাইলট বাড়ির কথা হয়তো অনেকে জানেন। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোয়ায়। এক জোসনা রাতে আগে থেকে থবর দিয়ে চলে যান সেখানে। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্ত বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন একটা দিন।

যেভাবে যাবেন: মহাখালী থেকে নরসিংদী বা কালিগঞ্জগামী যে কোন বাসে উঠুন। ১ ঘণ্টা পর পুবাইল কলেজ গেট এলাকায় নেমে পড়ুন। ভাড়া নেবে ৪০ টাকা। এরপর একটা ব্যাটারিচালিত রিক্সায় করে পাইলট বাড়ি। গেলে এসে ফোন করুন, গেট খুলে দেবে। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে।

বেলাই বিল, গাজীপুর গাজীপুরের চিলাই নদী এবং সংলগ্ন বেলাই বিল হতে পারে একদিন কাটানোর আদর্শ জায়গা। বিশাল জলাভূমিতে নৌকায় করে সারাটা দিন পার করুন আর দেখুন জেলেদের মাছ ধরা। সকালে ও এবং বিকেলে তাজা মাছ পাওয়া যায় এখানটায়। আসার সময় কিনে নিয়ে আসুন।

কানাইয়া বাজারের পাশেই চিলাই নদী। এখানে একটা নৌকা ভাড়া করে নিন। ছোট নৌকা হলে সারাদিন নেবে ৫/৬ 'শ টাকা। আর বড় নৌকা ২০০০ টাকা। রাতে নৌকাতেই থাকতে পারেন। এটা করলে বাজার কমিটিকে জানিয়ে রাখবেন আগেভাগে।

যেভাবে যাবেন: মতিঝিল বা মহাখালী থেকে গাজীপুরগামী বিআরটিসি বা গাজীপুর পরিবহনের বাসে উঠুন। নামবেন গাজীপুর শিববাড়ি মোড় এ। একটু হেটে সামনে গিয়ে কানাইয়া বাজার যাবার টেম্পুতে উঠুন। ৩০ মিনিট পর কানাইয়া বাজারে নামুন। ভাড়া নেবে ১০ টাকা।

ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট, টাংগাইল টাংগাইলের ধনবাড়িতে একটা পুরনো রাজবাড়ি আছে যা এখন রিসোর্ট হিসেবে চালু হয়েছে। নাম ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট। এখনকার মূল প্যালেসের ভাড়া বেশি তাই সেখানে না থেকে কাচারী বাড়িটা ভাড়া নিন আর সামনে বিশাল মাঠে বসে এক রাত কাটান।

যেভাবে যাবেন: ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি ধনবাড়ির বাস ছাড়ে। সময় নেবে ৪ ঘণ্টা আর ভাড়া সম্ভবত ২০০ টাকা।

রিভার প‌্যালেস, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ শহর পার হয়ে মুক্তাকাছার দিকে মাইল তিনেক গেলে হাতের ডানে খাগডহরে ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে গড়ে উঠেছে রিভার প‌্যালেস নামে অনিন্দ্য সুন্দর এক রিসোর্ট। এ রিসোর্ট এর বারান্দায় বা পেছনের নদী তীরে বসে একটা রাত নয় গোটা জীবনটাই পার করে দেয়া যায়।

যেভাবে যাবেন। ময়মনসিংহ পর্যন্ত বাসে। বাস স্ট্যান্ড থেকে কাচিঝুলি পর্যন্ত যাবেন রিক্সায়। এরপর মুক্তাকাছার ম্যাক্সিতে উঠে বসবেন। রিসোর্ট ভাড়া ১০০০, ১৫০০ এবং ২০০০ টাকা। এখানে খেতে গেলে ওনাদের মেনু থেকে বেছে দিলে সেভাবে রান্না করে দেয়। জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা লাগে খেতে।

সাদুল্লাপুর, সাভার সাভার উপজেলায় অবস্থিত। বর্ষাকালে মিরপুর সিন্নিরটেক ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে নৌকা নিয়ে যেতে পারেন আধা ঘণ্টা পরে এটি সাদুল্যাপুর গ্রামে পৌঁছাতে হবে। এই গ্রামে অনেক ফুলের বাগান পাবেন। এই এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক গুলো ফুলের ট্রাক ঢাকা আসে। ডে ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। তবে, এখন বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি মিরপুর বা উত্তরা থেকে আকারান বাজার হয়ে সাদুল্লাপুর ফুলের ক্ষেতে যেতে পারবেন।

কলাকোপা বান্দুরা বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের বিশাল ভাণ্ডার কলাকোপা বান্দুরা হতে পারে ডে আউটের জন্য আদর্শ একটি স্থান। ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কিমি: দুরের ইছামতী নদী তীরে গড়ে ওঠা প্রায় ২০০ বছরের সমৃদ্ধ এ জনপদটি এককোণ ভীড় ভাট্টা থেকে দূরে। তাই চলুন যে কোন এক সকালে।

কিভাবে যাবেন। গুলিস্তান মাজারের কাছ থেকে কলাকোপা বান্দুরাগামী বাস এন. মল্লিক ছাড়ে প্রতি ঘন্টায়। এখান থেকে বাসে চেপে ঘন্টা দুয়েক পরে পৌছে যাবেন কলাকোপা বান্দুরা।

রাণীগঞ্জ রাণীগঞ্জ হতে পারে ডে ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। কাপাসিয়ে ব্রিজ এর ডান পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ধরে মাইল দশেক গেলেই রানীগন্জ। জায়গাটি শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত। এ নদীতে রয়েছে সুন্তর একটি দ্বীপ। তাছাড়া নদীতে নৌকা ভাড়া করে ঘোরা যাঢয়। নদীর ওপারের বাজারে পাওয়া যায় তাজা মাছ যা কোন রেষ্টুরেন্টে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।

যেভাবে যাবেন: মহাখালি আইসিডিডিআর বি এর আপজিট পেট্রল পাম্প থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় রানীগন্জ এর বাস ছাড়ে। ভাড়া ৮০ টাকার মতো। সময় লাগবে ঘন্টা দুয়েক। কাপাসিয়ার পর রাস্তা গাছ পালায় ছাওয়া অসাধারন এক রাস্তা।

নুহাশ পল্লী ঢাকার অদূরে গাজীপুরে অবস্থিত। বিশিষ্ট্য সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক নৈসর্গ। নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এটি। গজারি আর শাল গাছের জংগলের মধ্যে দুর্গ আকৃতির দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই সবুজের সমরোহ দেখে চোখ আর মন দুই জুড়িয়ে যাবে। সবুজের মাঝে লাল সুরকি বিছানো রাস্তা, তার একপাশে একটু দূরে দুরে দুটো কটেজ। এর পাশে জবা ফুলের গাছে ঘেরা খুব সুন্দর সুইমিং পুল আছে।

বড় বড় গ্লাসের জানালা ওয়ালা কটেজের রুম গুলো বেশ সুন্দর করে গোছানো। সারা বাড়ি জুড়ে হুমায়ুন আহমেদের বর্তমান সংসার জীবনের জীবনের নানা চিহ্ন ছড়ানো। এখানে একটি ঘরে হুমায়ুন আহমেদের এ পর্যন্ত যত বই বের হয়েছে, তার সবগুলোর একটি সংগ্রহ রক্ষিত আছে। বইপ্রেমিদের জন্য লোভনীয় খবর হলেও এই ঘরে সবার প্রবেশাধিকার নেই। দুই কটজের মাঝে রয়েছে ছোট্ট একটি ছায়া ঘেরা পদ্ম পুকুর।

নুহাশ পল্লী প্রধান ফটক পেরোলেই চোখে পরবে কাঁচা সবুজ গালিচা খুব যত্ন করে কাটা দুবা ঘাসগুলো দেখে আপনি চমকে যাবেন।এত গাঢ় সবুজ সবসময় চোখে পড়েনা। শুরুতেই ডান পাশে একটি সুদৃশ্য স্ট্যাচু রয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন স্ট্যচু তে একজন মা তার ছেলে কে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। বিরাট সবুজ মাঠের এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত লম্বা খাঁচায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। মাঠের দুই পাশে স্থানে স্থানে রয়েছে ছোট ছোট জলাধার। সেখানে পদ্ম, শাপলা সহ রয়েছে আরো অনেক জলজ ফুল।

একটু এগোলেই ডান পাশে মাটির তৈরী একটি বাড়ি রয়েছ। দেখতে মাটির মনে হলেও ঘর টি পাকা আর পাকা ঘরের দেয়ালে মাটি মেখে মাটির ঘরের রুপ দেয়া হয়েছে।অত্যন্ত চমৎকার এই বড়ি টি লতা জাতীয় ফুলগাছে বেষ্টিত। মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ঘর তৈরী করা হয়েছে। স্যুটিং এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী ঘরগুলো আবাক করবে আপনাকে। হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সকল নাটক সিনেমার অন্যতম স্যুটিং স্পট এটি।

সবুজ মাঠ পেরিয়েই চোখে পরবে ঔষধী উদ্যান। ঔষধী গাছের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। ঔষধী উদ্যানের পাশেই রয়েছে হুমায়ুন আহমেদের এক জন্মদিনে “অন্যদিন” পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া হুমায়ুন আহমেদের একটি পাথরের স্ট্যাচু। উদ্যানের অন্য পাশে রয়েছে হাঁস-মুরগী ও গরুর খামার। উদ্যানটির পুর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগনের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নমে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে। বৃষ্টির রংঙ্গের বাড়িটির সামনে পাতা আছে অনেকগুলো দোলনা। ইচ্ছে করেলে একটু দুলতে পারেন।

নুহাশ পল্লীর অত্যন্ত সৌন্দর্যবহুল আর একটি স্থান “দিঘি লীলাবতী”, যার অবস্থান ঔষধী উদ্যানের পুর্ব পাশে। একটি দিঘিকে নারিকেল গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। রয়েছে সানকাধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বিপে অনেকগুলো নরিকেল গাছ আছে।নরিকেল গাছের নিচে কাঠের মাচা পাতা আছে। মৃদু বাতাসে নারিকেল গাছের নিচের এই মাচায় একটু সময় না কাটিয়ে আপনি যেতে পারবেন না ।

মৈনট ঘাট দোহারের মৈনট ঘাট গিয়ে দেখা পাবেন পদ্মা নদীর। পদ্মা পারের বিস্তৃত প্রান্তর সময় কাটনোর জন্য এক দারুন জায়গা। মৈনট ঘাটে যাওয়ার গুলিস্থান থেকে জন্য 'যমুনা ডিলাক্স' বাস পাবেন। ভাড়া ৯০ টাকা, যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার মত।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার