‘নিজেকে মনে হচ্ছিল দোলনায় দোলা শিশু’
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঘুমন্ত নগরীতে হঠাৎ দানবীয় কম্পন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুঁড়িয়ে গেছে শয়ে শয়ে বাড়িঘর। তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর গাজিয়ানতেপ থেকে সিরিয়ার আলেপ্পো হয়ে হামা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০ কিমি. এলাকার সব শহরই যেন এক একটা মৃত্যুদ্বীপ। চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ, লাশের ওপরে লাশ। বাতাসে স্বজন হারানোর আর্তনাদ। কেউ ভয়ে-আতঙ্কে পালাচ্ছে। গাড়ি নিয়ে ছুটছে নিরাপদ গন্তব্যে। কেউবা নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তায়। অনেকে আবার একটুর জন্য বেঁচে ফিরেছেন। মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের এরডেম রয়টার্সকে বলেন, ‘তীব্র ঝাঁকুনি। নিজেকে মনে হচ্ছিল কোলে থাকা একটি শিশু। যাকে ইচ্ছামতো দোলানো হচ্ছে। আমি আমার জীবদ্দশার ৪০ বছরেও এমন ভয়াবহ কিছু দেখিনি। আমাদের শহরের বোধহয় একটি লোকও এখন বাড়িতে নেই। রাস্তাই তাদের গন্তব্য। কেউ গাড়ি চালিয়ে খোলা জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ রাস্তায়ই বসে আছে গাড়ির ভেতরে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দা সামের রয়টার্সকে বলেন, ‘বাড়ির দেওয়াল থেকে শখের চিত্রশিল্পটি পড়ে যায়। আমি খুব ভয় পেয়ে জেগে উঠি। এ যেন আমার জন্য এক দুঃস্বপ্ন।’ স্থানীয়রা জানান, তারা ভূমিকম্প টের পান ভোরে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দা সামের রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পের সময় বাড়ির দেওয়াল থেকে পেইন্টিং খসে পড়ছিল।
‘আমরা নিশ্চিত ছিলাম, মরে যাব সবাই’ : তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদানার বাসিন্দা নিলুফার আসলান বিবিসিকে জানায়, তার পরিবার নিশ্চিত ছিল তারা ভূমিকম্পে মারা যাবে। পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। তার পরিবার ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে একত্রে জড়ো হতে বলেছিল, যাতে মৃত্যু হলে সবাই একসঙ্গেই মরতে পারে।
ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পর আসলান বাইরে পালিয়ে যায়। বলেন, ‘আমি আমার সঙ্গে কিছু নিতে পারিনি এক জোড়া স্যান্ডেল ছাড়া। এমন তাণ্ডব জীবনে আর দেখিনি। চোখের সামনেই পাশের একটি বিল্ডিং ধসে পড়েছে।’
‘ঠান্ডা আবহাওয়া আর আফটার শক এখন নতুন ভয়’ : মালাটিয়ার অভিবাসী ২৫ বছর বয়সি ওজগুল কোনাকসি বিবিসির কাছে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। রাতে তিনি এবং তার ভাই সোফায় ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ কম্পন শুরু হলে তারা তাদের তিন বছর বয়সি ভাতিজাকে নিয়ে কোনো রকম বিল্ডিং ত্যাগ করেন। বেঁচে ফিরলেও পরবর্তী মৃদু কম্পন (আফটার শক) ও ঠান্ডা আবহাওয়া নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা, তুষারপাতেও মানুষজন রাস্তায় অবস্থান করছে। কী করা উচিত, তা নিয়ে সন্দিহান সবাই। পরবর্তী মৃদু কম্পনে এই মাত্র চোখের সামনে একটি বিল্ডিংয়ের জানালা ধসে পড়েছে।’ তিনি জানান, ভূমিকম্পে তাদের বিল্ডিং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের ৫টি বিল্ডিং ধসে পড়েছে।
‘মনে হচ্ছিল এই কম্পন আর থামবে না’ : তুরস্কের সাংবাদিক ইয়াদ কুর্দি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের বাসিন্দা। সোমবার ভোরে ভূমিকম্পের ভয়াবহ বর্ণনা দেন সিএনএনকে। বলেন, মনে হচ্ছিল এই কম্পন আর শেষ হবে না। যখন ভূমিকম্প শেষ হলো, তখন আমরা পরনের কাপড় পরেই কয়েক ইঞ্চি তুষারপাতে রাস্তায় নেমে পড়ি। বৃষ্টিতে আমার ৩০ মিনিট বাইরে থাকার পর ঘরে গিয়ে শীতের কাপড় আর বুট জুতা নিয়ে আসি।
সিএনএনের আবহাওয়াবিদ কারেন ম্যাগিনিস বলেন, ভূমিকম্পটি কয়েক লাখ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। আবহাওয়া ঠান্ডা, বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব আপনার জীবনে আর পরিবারের ওপরও পড়বে। অঞ্চলগুলোয় ফসল উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। এই প্রভাব সপ্তাহ বা মাস অবধিও গড়াতে পারে।
- গবেষণায় আগ্রহী কর্মকর্তাদেরকে গবেষণা প্রস্তাব জমার অনুরোধ
- সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিসহ আটক ৪
- বাড়তে পারে সিলেটের তাপমাত্রা
- উপজেলা নির্বাচন : সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণ জেনে নিন
- ‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে’
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ফাইল
- চলমান যুদ্ধগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী
- ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু
- জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের সময় চাঁদা নিতে মানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের
- শ্রমিকসংকটে হাওরে ধান কাটায় ধীরগতি, শঙ্কায় কৃষকরা
- শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- মাধবপুরে ঝগড়ার সময় বৃদ্ধের মৃত্যু, আটক ৩
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি জ্যামাইকার
- গরমে ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ নারী ও শিশুরা : ইউনিসেফ
- মৌলভীবাজারে রেললাইন ঘেঁষে অবৈধ পশুর হাট, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- দেশে ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- সিলেটে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত
- মন্ত্রী-এমপির স্বজন যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি, সময়মতো ব্যবস্থা
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- বেপজায় গার্মেন্টস পণ্য তৈরির কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন
- সিলেট বিভাগের সেরা ওসি ছাতক থানার শাহ্ আলম
- নতুন সাজে ৫’শ বছরের পুরনো রামকৃষ্ণ জিউর আখড়া
- ফুটপাত দখল করে নগরীতে ব্যবসা, সিসিকের অভিযান ও জরিমানা আদায়
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম
- বসন্ত গায়ে মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে, শেষ প্রদীপও নিভে গেল দরিদ্র ফয়জুরের
- বড়লেখায় বিজিবির ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- স্বাধীনতার ঘোষণা , বঙ্গবন্ধুর রচনা
- বাবার হাতে লাগানো গাছ ছুঁয়ে দেখলেন ভুটানের রাজা
- বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত
- রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি