শতাব্দী-সেরা সংকটের নাম ‘ইমরান খান’!

পৃথিবীতে প্রতি ১০০ বছরে একটি করে বড় সংকট আসে, আর বর্তমান শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সংকটের নাম দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান! বুধবার (১২ জানুয়ারি) পাক পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এভাবেই পিটিআই সরকারকে তুলোধুনো করেছেন দেশটির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল পিপিপির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি। দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের।

পাক প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিলওয়াল বলেছেন, প্রতি শতাব্দীতে একটি করে সংকট আসে আর এই শতাব্দীর সংকট হচ্ছেন ইমরান খান।

এ সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ইমরান সরকারের চুক্তি দেশটিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে বলে দাবি এ নেতার। তিনি মনে করেন, আপনি যখন দুর্বল, তখনই আইএমএফের কাছে গেলেন এবং একটি দুর্বল চুক্তি করলেন। আমরা এই চুক্তির দায়ভার বহন করব না, এটি করবে সাধারণ মানুষ ও দরিদ্ররা।

পিপিপি চেয়ারম্যানের মতে, ইমরান সরকারের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক বিল পাকিস্তানে ‘মূল্যস্ফীতির সুনামি’ তৈরি করবে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকার ‘দম্ভ’র কারণে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেনি। আমরা আপনাদের আসিফ আলি জারদারি ও শেহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলাম, কিন্তু আপনারা (সরকার) তা শোনেননি।

খাইবার পাখতুনখাওয়া নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বিলওয়াল বলেন, দুর্বল অর্থনৈতিক নীতির কারণে পিটিআই শিগগির জনরোষের মুখে পড়তে চলেছে। তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বিলটির মাধ্যমে ইমরান খানের সরকার পেট্রোল, সাইকেল, মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটসহ আরও বিভিন্ন পণ্যে গায়ের শুল্ক বাড়াতে চায়।

বিলওয়াল দাবি করেন, আপনারা শুধু আমদানিকৃত পণ্যেই শুল্ক বসাচ্ছেন না, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যেও বসাচ্ছেন। পোল্ট্রি, ডিম, বীজে ট্যাক্স নিচ্ছে সরকার- এটি অর্থনৈতিকভাবে কৃষকদের হত্যার সামিল।

এদিন ২০১৯ সালে সংসদ সদস্যদের জন্য পাকিস্তান কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে পিপিপি নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি কীসে বিনিয়োগ করেছেন যে, ক্ষমতায় বসার পর সম্পদ দুই হাজার শতাংশ বেড়ে গেল। এটা কোন ধরনের স্কিম যেখানে ইমরান খান ধনী হলেন আর গোটা দেশ গরিব হলো?