যক্ষ্মা কীভাবে ছড়ায় ও এর লক্ষণ কী কী?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩
যক্ষ্মা একটি মারাত্মক ব্যাধি। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলো রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যায় ও ৩০ হাজার আক্রান্ত হয়। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই’ এমন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। যদিও এই কথার এখন ভিত্তি নেই, কারণ এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন বেশ উন্নত। অতীতে যক্ষ্মার জন্য কার্যকর কোনো ওষুধ ছিল না।
তাই যার যক্ষ্মা হতো, তার মৃত্যুও ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। তবে এখন খুব দ্রুত যক্ষ্মা রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। তাই এই ব্যাধি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং সতর্ক থাকতে হবে ও প্রতিরোধে কী করণীয় তা জানতে হবে।
যক্ষ্মা কী, এই রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানিয়েছেন ডা. হিমেল ঘোষ (এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ), বিসিএস (স্বাস্থ্য), মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডুমুরিয়া, খুলনা)।
যক্ষ্মা কী ও কাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি?
মাইকোব্যাকটেরিয়াল টিউবারকিউলোসিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে যক্ষ্মা হয়। দীর্ঘস্থায়ী, সংক্রামক ও প্রাচীন রোগটি যে কোনো বয়সে, যে কারো হতে পারে।
তবে যক্ষ্মা রোগীর কাছাকাছি থাকেন এমন ব্যক্তি, যেমন- পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স বা সেবাদানকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এছাড়া পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মাদকাসক্তি, বার্ধক্য, অপুষ্টি ইত্যাদি যক্ষ্মার ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। যাদের রোগ প্রতিরোধের
যক্ষ্মা কীভাবে ছড়ায়?
চারপাশের পরিবেশে ও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে যক্ষ্মার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ছড়ায় যক্ষ্মার জীবাণু। এ কারণে সহজে যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবার মধ্যেই আছে।
অনেক সময় জীবাণু শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তখন এর উপসর্গ বোঝা যায় না। পরবর্তী সময়ে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে সুপ্ত যক্ষ্মা সক্রিয় যক্ষ্মায় রূপ নিতে পারে।
জানলে অবাক হবেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অংশ জন্মগতভাবেই যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বহন করে। তবে শরীরে জীবাণু থাকা মানেই কোনো ব্যক্তি যক্ষ্মা রোগী নন। তবে জীবাণুর ধারক নিজে রোগাক্রান্ত না হলেও তার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে যক্ষ্মা ছড়াতে পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯৬ লাখ মানুষ সক্রিয় যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। যাদের মধ্যে ১৫ লাখই মারা যান। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন ও এর মধ্যে ৭০ হাজার রোগী মারা যান।
যক্ষ্মা কোথায় হয়?
শতকরা ৮৫ ভাগ যক্ষ্মা ফুসফুসেই হয়ে থাকে। তবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গেও ছড়াতে পারে যক্ষ্মার জীবাণু। ফুসফুসের আবরণী, লসিকাগ্রন্থি, যকৃত, বৃক্ক, মস্তিষ্ক ও এর আবরণী, অন্ত্র, হাড় এমনকি ত্বকেও হতে পারে যক্ষ্মা। তবে ফুসফুসে যক্ষ্মা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।
ফুসফুস ছাড়া শরীরের অন্য যে অংশে যক্ষ্মার জীবাণু সংক্রমিত হয়, সেই অংশটি ফুলে ওঠে। যেমন- গলায় লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত হলে গলার ওই অংশ ফুলে উঠতে পারে।
আবার মেরুদণ্ড আক্রান্ত হলে মেরুদণ্ডের ওই অংশ ফুলে উঠতে পারে এরকম। এমন ফোলা অংশগুলো খুব শক্ত বা নরম হয় না- অনেকটা সেমি সলিড ধরনের হয়ে থাকে।
যক্ষ্মার লক্ষণ কী কী?
>> রাতে ঘুমনোর সময় ঘাম
>> ক্ষুধামন্দা
>> মাঝে মধ্যে বুকে ব্যথা হওয়া
>> যক্ষ্মার অন্যতম লক্ষণ হলো কাশি
>> কাশির সঙ্গে হালকা কিংবা গাঢ় রক্তপাত।
>> এমনকি যক্ষ্মা রোগীর প্রস্রাবের সঙ্গেও রক্ত বের হতে পারে।
>> ওজন কমে যাওয়া
>> সন্ধ্যা বা রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
>> মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
>> পেটব্যথা
>> বুকে বা পেটে পানি জমা
>> খিঁচুনি বা অজ্ঞান হয়ে পড়া ইত্যাদিও যক্ষ্মার ভিন্ন কিছু উপসর্গ।
যক্ষ্মার চিকিৎসা কী?
চিকিৎসায় যক্ষ্মা সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়। দুই ধরনের ক্যাটাগরিতে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেওয়া হয়। একটি ক্যাটাগরিতে ছয় মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। অপর ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ৮-৯ মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়।
তবে অনেক সময় দুই থেকে তিন মাস ওষুধ খাওয়ার পর আক্রান্ত রোগী একটু ভালো অনুভব করলে, ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। এটি একদমই ঠিক নয়। যক্ষ্মার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়মিত পূর্ণ মেয়াদে সেবন করতে হয়।
না হলে আবার যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং এরকম ক্ষেত্রে আগের ওষুধ কোনো কাজেও আসে না। তৈরি হয় মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি ও এক্সট্রিম ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি, যার চিকিৎসা খুবই দুঃসাধ্য ও ব্যয়বহুলও বটে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধে জন্মের পরপরই প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া উচিত। হাঁচি, কাশি ও কফের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। তাই রাস্তা-ঘাটে হাঁচি-কাশি এলে মুখে রুমাল চাপা দেওয়া উচিত ও যত্রতত্র কফ-থুথু ফেলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার, রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন।
তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘হ্যাঁ আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’।
- দেখার হাওড়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী
- সিলেটে ২১ এপ্রিল থেকে কোভিডের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান
- কোম্পানীগঞ্জে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- এমসি কলেজের স্থাপনাসহ সিলেটের প্রত্নস্থল সংরক্ষণের আহবান
- প্রচ্ছদ শিল্পী ও লেখক ধ্রুব এষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
- ইংল্যান্ডে পড়তে যেতে সিলেটি শিক্ষার্থীদের যা জানতেই হবে
- সিলেটে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- সিলেটে প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে পালন
- সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ
- খাদ্য-পুষ্টি নিশ্চিতে গবেষণা অগ্রাধিকার পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
- শান্তিগঞ্জে হাঁসে ধান খাওয়া নিয়ে দু`পক্ষের সংঘর্ষ :নিহত ১
- সিলেটে আমিনা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
- ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাস
- আমরা চাই ভারতীয় দর্শকরাও যাতে বিটিভি দেখবেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- সিলেট প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি ইকরামুল, সম্পাদক সিরাজুল
- বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন
- ধান বিক্রিতে কোনও সিন্ডিকেট তৈরি হতে দেয়া যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
- প্রত্যেক বিভাগে আলু সংরক্ষণাগার আধুনিকায়নে পদক্ষেপের সুপারিশ
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটির
- উপজেলা নির্বাচনে ভিন্ন কৌশলের কারণ জানাল আ.লীগ
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করতে মানা, কঠোর বার্তা শেখ হাসিনার
- প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল
- সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্যসহ চোরাকারবারী গ্রেফতার
- নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের
- আমাদের মূল পুঁজি হলো কৃষি: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান
- যাচাই-বাছাইয়ে কুলাউড়ার ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ
- কুলাউড়ায় দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
- ইউরোপ: প্রাকৃতিক বৈচিত্রের দেশ রোমানিয়ায় ভিজিট ভিসা পাবেন যেভাবে
- আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই
- সুনামগঞ্জের ফ্লাওয়ার লেকে ছুটছেন দর্শনার্থীরা
- সিলেটে ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর জুটিতে তিনশ ছাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার লিড
- মৌলভীবাজার সমিতি সিলেটের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে স্মার্টের দিকে এগোচ্ছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- দেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত- বিবিএসের জরিপ
- সিলেটে সরাসরি ইন্টারভিউ, দুবাইয়ে কর্মী নিয়োগ
- ২২ বছর পর সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি
- বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
- নিসচা সিলেট জেলার আহবায়ক মিশু, সদস্য সচিব হায়াত
- দোকানে-দোকানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম