• মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩০

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের মৃত্যু : পরিবেশমন্ত্রীর শোক যুক্তরাষ্ট্র আরও স্যাংশন দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী দোয়ারাবাজারে ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারি আটক আসন্ন বিশ্বকাপে যে দলকে চ্যাম্পিয়ন মনে করছেন গাভাস্কার শুরু হলো পঞ্চম সিলেট চলচ্চিত্র উৎসব খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রোববার: আইনমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বাঙালির বিশ্ব জয়ের সারথি: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
৯৪

চোখ উঠার লক্ষণ, কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২  

এই সময়ে অনেকের চোখ ওঠছে। এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে চোখ এমনিতে ভালো হয়ে যায়।

চোখের ভাইরাসে কিছু ড্রপ আছে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সাফী খান।

কেন চোখ ওঠে

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,  কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

চোখ উঠার লক্ষণ

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে  ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে।

ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

কী করবেন

১. আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।

২. চোখ উঠলে বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে।

৩. চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, তাই  যাদের চোখ ওঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকও করবেন না।

৪. কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে।  চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন

দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার