ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১১৮

শাবিতে শ্রেণিকক্ষেই হামলার শিকার শিক্ষার্থী !

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩  

ক্লাসরুমে সহপাঠী দ্বারা অতর্কিত হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এবিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর ক্যাম্পাসে ফিরে রোববার ( ১৯ মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী সে শিক্ষার্থী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের নিকট একই আবেদনপত্রের অনুলিপি জমা দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাড়াও নরসিংদী ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন শিকড় এর প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ই মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে বাংলা বিভাগের ৪০৬ নম্বর রুমে সহপাঠী ‘মো. গুলশান আহমেদ ( রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ২০১৮২৩৮০৯৬)’ দ্বারা অতর্কিত আক্রমণের শিকার হন তিনি। সেদিন দুপুর ২টা থেকে ক্লাস শুরু হয় এবং ৩টায় টার্মটেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ টায় শেষ হয়। এরপর পেছন থেকে ব্যাগ আনতে সামনে গেলে নিজের ব্যাগসহ আরো দুইটি ব্যাগ ধূলাবালি মাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এই কাজের পেছনে কে রয়েছে, জিজ্ঞেস করলে কারও কোনো সদুত্তর পাননি তিনি। তবে পরবর্তীতে ক্লাস শেষ হলে মো. গুলশান আহমেদ ভুক্তভোগীকে পেছন থেকে হঠাৎ আক্রমণ করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, গুলশান আহমেদ প্রথমে তার ঘাড়ে চেপে ধরে চোখ থেকে চশমা খুলে ভেঙে ফেলেন এবং ঘাড়, মাথা ও কাঁধের বেশ কয়েক জায়গায় এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। আক্রমণকালে গুলশান আহমেদের হাতে ধাতব কোনো বস্তু ছিল বলে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্রে লিখেন, তার হাতে থাকা কোনো ধাতব বস্তুতে আমার গলার নিচের অংশ কেঁটে যায়। অতর্কিত হামলার কারণে আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। সাথে সাথেই আমার সহপাঠীরা তাকে ফেরানোর চেষ্টা করলে সে তাদের ওপরেও চড়াও হয় এবং সেখানে ২/৩ জনকে আহত করে। সেই সাথে বিভিন্ন হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। পরবর্তীতে সে তার বন্ধু মো. মিলাদ হোসাইনের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ২০১৮২৩৮০৫৯) সহযোগিতায় ক্লাসরুম থেকে পালিয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ আমি ও আমার সহপাঠীরা বিভাগীয় প্রধানকে ঘটনাটি অবগত করি। হামলার সাথে সাথেই আমার মাথা ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয় এবং মুখের ডানপাশের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। চিকিৎসা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গেলে আমার অবস্থার আরও অবনতি হয় এবং আমি চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি। এরপর আমার বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় ঔষুধ প্রদান করেন এবং একইসাথে দ্রুত আমার মাথার ‘সিটি স্ক্যান’ করান এবং বিভিন্ন ইনজেকশন দেন। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সারারাত চিকিৎসা নেওয়ার পরদিন আশংকামুক্ত হলে গত ১৭ই মার্চ দুপুর ১টায় আমাকে বিশেষ যত্ন নেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম এবং অতিদ্রুত চোখের চিকিৎসা গ্রহণ করতে বলা হয়।

হামলায় আহত হওয়ার পর মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ততার পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষকেও নিজের জন্য অনিরাপদ বোধ করছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমার জানা মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে নিরাপদ জায়গা শ্রেণীকক্ষ। সেই দিনের দুর্ঘটনার পর আমার নিজের বিভাগের শ্রেণীকক্ষ নিয়ে মানসিকভাবে পীড়া তৈরী হচ্ছে। নিজের মনের মধ্যে শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করা নিয়ে একধরনের শঙ্কা কাজ করছে। বাস্তবিক অর্থেই আমার সহপাঠী দ্বারা ক্লাসরুমের মতোন নিরাপদ জায়গায় এভাবে আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য ছিলনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচাইতে বাজে অভিজ্ঞতা ওইদিন আমাকে অর্জন করতে হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো. গুলশান আহমেদ বলেন, তার আর আমার মাঝে ক্লাসে যে ঝগড়া সেখানে ভুলক্রমে আমি তাকে আঘাত করে ফেলি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার