জব্দ ১৬ আলামত পরীমনির জিম্মায় দিতে নির্দেশ

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতারের সময় জব্দ হওয়া গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ ১৬টি আলামত পরীমনির জিম্মায় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন। এর আগে বেলা দেড়টায় পরীমনি আদালতে উপস্থিত হন। 

পরীমনির কাছ থেকে ১৬টি জব্দ করা আলামত হলো- একটি হ্যারিয়ার গাড়ি, দুইটি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন, একটি আইপেড, মেমোরি কার্ড একটি, পেনড্রাইভ একটি, টেলিটক মডেম একটি, মাই স্টাইক একটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভিসা কার্ড একটি, ব্রাক ব্যাংকের গোল্ড কার্ড একটি, ব্রাক ব্যাংকের ভিসা কার্ড একটি ও দুইটি পার্সপোর্ট।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমনির সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

এরপর গত রোববার আদালতে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পুলিশ দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত পরীমনিকে দেওয়ার জন্য এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, যদি পরীমনিকে তার জব্দ করা আলামত দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।

গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। সে সময় তাকে আটক করা হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি মিনি বার তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করত এবং পার্টিতে অংশ নিতো। 

পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এপর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও ৫ থেকে ৭ টি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজ তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় সিনেমা জগতে নিয়ে আসে।