• শুক্রবার   ২৪ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৯ ১৪২৯

  • || ০১ রমজান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
আগামীকাল সিলেটের আকাশে ‘ফায়ার ফ্লো’  দেশের খাদ্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
১১

শিশু আরিশার ক্ষতিপূরণের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

রাজধানী পল্টনে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে হাতের কবজি হারানো আরিশা আক্তারের (৬) চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিদ্যুৎবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ ঘটনায় আরিশাকে যথাযথ ক্ষতিপূণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরিশার বাবা আরমান আকতারের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে পল্টনে বাসার বারান্দায় ট্রান্সফরমারের তার কেটে বা ছিঁড়ে জানালার গ্রিলের ওপর পড়ে। সেই তারে (গ্রিলে হাতে দিতে গিয়ে) হাত পড়ে আহত হয় আরিশা আক্তার। পরে শিশুটির হাতের কবজি কেটে ফেলতে হয়েছে।

এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের দায় রয়েছে উল্লেখ করে শিশুটির চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি আবেদন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সেই আবেদনে কোনো সাড়া না দেওয়ায় গত সপ্তাহের হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন শিশুটির বাবা আরমান আকতার। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগকে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।

ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে রিট আবেদনের বলা হয়, শিশু আরিশা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজারবাগের কদমতলায় তার নানার বাসায় বেড়াতে গেলে সেখানে ব্যালকনির গ্রিলে হাত দেয়। এসময় সেখানে গ্রিলের সঙ্গে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারে আরিশা বাঁ হাত রাখতেই হঠাৎ বিকট শব্দে আগুনে হাত ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে আরিশাকে নেওয়া হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, আরিশার বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলতে হবে। শিরার রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো সেল কাজ করছে না। কারণ ‘হাইভোল্টেজ শকে’ আরিশার হাতের কবজি একেবারেই ঝলসে গেছে। পরে তার হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়।

বারান্দার পাশ দিয়ে নেওয়া খোলা তারের বিষয়ে বার বার বিদ্যুৎবিভাগের কাছে আবেদন করেও তারা কোনো সাড়া পাননি। বরং নিজেদের খরচে খোলা তারের ওপর পিভিসি পাইপ বসালেও সেটি খুলে ফেলা হয়। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটলো।

 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার