৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় কারাগারে পুলিশ কনস্টেবল

৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায় পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২৭ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মুরাদ হুসাইন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৬ নভেম্বর রাসেল নামে এক ব্যক্তিকে ৯ লাখ টাকা দেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহ আলম। কথা ছিল ওই টাকা মতিঝিল শাখার আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেওয়ার।

কিন্তু সকাল ১০টার দিকে রাসেল টাকা নিয়ে মতিঝিলের জনতা ব্যাংকের কাছে এলে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তার কাছে পরিচয় জানতে চান। ওই ব্যক্তি তখন নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন। একপর্যায়ে রাসেলের ব্যাগ চেক করে টাকা দেখে বলেন, ‘অবৈধ ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করেছে।’

মামলায় আরও বলা হয়, তখন রাসেলকে ওই ব্যক্তি মারধরও করেন। মামলা আছে জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ঘটনাস্থলে আরেকজন এসে রাসেলকে বলেন, ‘স্যার যা বলে তাই শোন, তোর ভালোর জন্য বলতেছি। তুই মোটরসাইকেলে ওঠ, না হলে স্যার কিন্তু তোর কঠিন ক্ষতি করবে।’

এসময় রাসেল ভয়ে মোটরসাইকেলে ওঠেন। এরপর তাকে হানিফ ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদ ঢালে এনে নামিয়ে দেন পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। আর ৯ লাখ টাকা নিয়ে যান। রাসেলের পকেটে থাকা দুই হাজার ১০০ টাকাও জোর করে নিয়ে যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার পর রাসেল ওই দুই ব্যক্তিকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন। সবশেষ ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে মতিঝিলে সিটি জেন্স ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখার সামনে ওই দুই ব্যক্তিকে দেখেন রাসেল। এসময় উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করে তিনি। একপর্যায়ে উজ্জ্বল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও অপরজন পালিয়ে যান।

এরপর ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাসেল মতিঝিল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়া গ্রেফতার করা হয়।