জেএমবির পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে আদালত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এই আদেশ দেন।

সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ। তিনি বলেন, আদালত ৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- আবদুল মান্নান, এম সাখাওয়াত হোসেন, বাবলু রহমান, রমজান আলী ও আবদুল গাফফারের। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। এর মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দীন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে সেখানে আসামি করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেফতার আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ।

জালাল উদ্দীন বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এই রায় দিয়েছেন।