ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১০১

কিছু লোক হাতুড়ি-শাবল দিয়ে আশ্রয়ণের ঘর ভেঙেছে: প্রধানমন্ত্রী

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মধ্যে বিতরণ করা ঘর কিছু লোক হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে মিডিয়ায় প্রচার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় লাখ ঘর নির্মাণ করা হলেও মাত্র ৩০০টিতে ত্রুটি ধরা পড়েছে। কিছু লোক হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ঘর ভেঙে মিডিয়ায় প্রচার করছে। যারা ঘর ভেঙেছে, তাদের নামের তালিকাসহ তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে রয়েছে। তদন্তে মাত্র নয়টি জায়গায় দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, কখনই সরকারের পক্ষে এককভাবে করোনার মতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন থাকার কারণেই সরকারের পক্ষে এ মহামারির ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যখনই ঘর ভাঙার তথ্য পাওয়া গেছে, সম্পূর্ণ সার্ভে করা হয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেকের নাম-ঠিকানাসহ পাওয়া গেছে। তবে কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে মাটি দেবে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ১১ মাস পর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এ বৈঠক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের ৫৩ জন নেতাকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নেতাদের করোনা পরীক্ষাও করাতে হয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিসহ দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বৈঠকটি চলেছে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছরের ৩ অক্টোবর।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত অনিয়ম ও নিম্মমানের ঘর নির্মাণের কারণে ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো, আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেব, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের যে, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম- কীভাবে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোন জায়গার ভাঙা ছবি ইত্যাদি! এটা দেখার পর পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে! সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ৩০টা ঘর ভেঙেছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে এরপর মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি তুলে দিয়েছে। তাদের নাম-ধাম, এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়েছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্টটা আছে, গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, কারা এভাবে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়।

ঘর ভেঙে পড়ার পেছনের কারণ মিডিয়া অনুসন্ধান করেনি- এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে। তারা কিন্তু এটা কীভাবে হয়েছে, সেটা বলেনি। কয়েকটা জায়গায় দেখা গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬০০ ঘর, সেখানে হয়তো ৩-৪টা ঘর ভেঙেছে। ওই যে প্রচণ্ড বৃষ্টি হল যখন, সেজন্যই মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। মাত্র নয়টা জায়গা পাওয়া গেছে, যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই আমি দেখেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এটিকে নিজেদের দায়িত্ব বলেই মনে করেছেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ সব কর্মচারীই এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন। যারা ইট তৈরি করেন, তারাও এগিয়ে এসেছেন। অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছেন। এভাবে সবাই, সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতাটাই বেশি ছিল।

আক্ষেপের সুরে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু লোকও ছিলেন, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে!

এ বিষয়ে নেতাকর্মীসহ সংশ্নিষ্টদের আরও সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, যাই হোক আমরা সেগুলো মোকাবিলা করেছি। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকা দরকার।

করোনা সংকট মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার জন্য সংশ্নিষ্ট সবার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রত্যকটা প্রতিষ্ঠানই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের পক্ষে করোনার মতো অতিমারির ভয়াবহতা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে একটা কারণেই, তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন আছে। জানি এ কথা হয়তো কেউ লিখবেও না, বলবেও না। কিন্তু আমি বলব, এককভাবে কখনও সরকারি লোক দিয় সবকিছু সম্ভব হয় না।

সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা আছে আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার। অতীতে আমাদের কী অবস্থা ছিল? পঁচাত্তরের পর থেকে ৯৬ পর্যন্ত কী অবস্থা ছিল? সেটা যেন তারা একটু উপলব্ধি করে। কিছু কিছু ভাড়াটে লোক আছে, যারা সারাক্ষণ একটা না একটা বলতেই থাকবে। কিন্তু যে যা বলে বলুক, আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়ে চলেই দেশটাকে গড়ে তুলব।

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে আসব। আজকে কিন্তু বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। সরকার তার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেই দেশের মানুষ সুফল পাচ্ছে।

দীর্ঘ সময় পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আয়োজন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক সচরাচর চার মাস বা দুই মাস পর পর হতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেগুলো সময়মত করা যায়নি। এখন করোনা কিছুটা কমেছে।

দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সামনে, আর দলটাও করতে হবে। করোনাভাইরাসে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটা কিন্তু অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করেনি। তারা মূলত কেউ দাঁড়ায়নি, তাদের কোনো আগ্রহও ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় বৈঠকে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া। এ সময় দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়সহ দেশের সর্বশেষ আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার