ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৯২৬

রেলওয়ে খাতকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯  

‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকার। ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত নতুন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীনে সরাসরি ট্রেনেই যাওয়া যাবে।

মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত সূ্ত্র জানিয়েছে, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা ও চিলাহাটি হয়ে ভারতের হলদিবাড়ি এবং কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার ও চীন পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়াও যাত্রী সেবার মান বাড়াতে এবং রেলওয়েকে আধুনিক মানের করতে দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালু করবে সরকার।

একটি অপশক্তি একসময় বাংলাদেশের রেলওয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যার জন্য ১৯৯১ সালে প্রায় ১০ হাজার রেল কর্মচারীকে সেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সেসকল বাধা বিপত্তিকে জয় করে বর্তমান সরকার এই রেলওয়ে খাতে উন্নয়নের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তার এক বক্তব্যে বলেন, যমুনা সেতুর পাশেই ৩০০ মিটার দীর্ঘ আলাদা রেলসেতু স্থাপন করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ওই সেতুর কাজ শুরু হবে এবং পরিকল্পনা মতো যথা সময়েই তা উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।

সুজন বলেন, ‘যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এবং রেলওয়েকে আধুনিক মানের করতে দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালুর প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে এ ট্রেন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা-চট্টগ্রামে চলবে। এরপরই এটা সম্প্রসারণ করে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন করা হবে।’

বাংলাদেশ রেলওয়েকে সার্ক করিডোরের সঙ্গে যুক্ত করতে যুগান্তকারী মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রায় ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা মূল্যের ২৩৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ এ প্রকল্পগুলো শেষ হবার কথা। প্রকল্পগুলোর কাজ সমাপ্ত হলে রেলই হয়ে উঠতে পারে দেশের মানুষের প্রথম পছন্দের পরিবহন। এমনটাই আশা করেন রেলমন্ত্রী।

এছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০টি প্রকল্প গ্রহণ করে। এসব প্রকল্পের অনেকগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বেশ কিছু চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার যাতয়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে রেলকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাজেটে বরাদ্দও বাড়িয়েছে। পাশাপাশি রেলের উন্নয়নে এডিবি, ভারত, চীন, জাইকাসহ বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে সহজ শর্তে অর্থ দিতে রাজি হয়েছে।

মাস্টার প্ল্যানের আওতা : মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় সমগ্র রেলপথের উন্নয়নে রয়েছে মোট ২৩৫টি প্রকল্প। এর মাধ্যমে দেশে নতুন রেলপথ তৈরি করা, বিদ্যমান রেলপথ ডাবল-ট্রিপল ও চার লেন করা। পাশাপাশি এ মাস্টার প্ল্যানের আওতায় রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ছাড়াও প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করে ট্রান্স-এশিয়ান রুটে বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুক্ত করা। এ প্ল্যানের আওতায় রয়েছে সার্কুলার রেলের পরিকল্পনা, যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে রয়েছে ১৫টি করিডোর। এগুলো হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে সোনাদিয়া (গভীর সমুদ্র) আবার হাটহাজারী হয়ে মায়ানমার সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত রেল পথ সম্প্রসারণ, চিল্লাহাটি-ঈশ্বরদী থেকে খুলনা হয়ে মংলা পর্যন্ত রেলপথ, যশোর থেকে সাতক্ষীরা হয়ে সুন্দরবন পর্যন্ত, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রাজশাহীর রোহানপুর ও চিলাহাটি পর্যন্ত, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত, ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত, ঢাকা-ময়মনসিংহ- জামালপুর-তারাকান্দি হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত, ঢাকা থেকে ভৈরব বাজার হয়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত। এছাড়া করিডোর ৯-এ আছে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে জাজিরা-রাজবাড়ী-মৌকুড়ি-বড় দুর্গাপুর-পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া-মৌকুড়ি (মিজানপুর)-বড়দুর্গাপুর- পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন। এ ছাড়া রেল সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বড় ব্রিজ তৈরি ও বিদ্যমান ব্রিজের উন্নয়ন সহ বেশ কয়েকটি ছোট ব্রিজসহ শতাধিক কালভার্ট তৈরি করা হবে।

এ ছাড়া বগি ও পণ্য পরিবহনের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহের মধ্যে আছে ১৮৬টি রেল ইঞ্জিন ক্রয়, ১ হাজার ৯৫টি কোচ, উন্নত ধরনের ৮ চাকার ওয়াগান ক্রয়, ৫০০টি ফ্লাট ওয়াগান ক্রয়, ৫৩১ টি মিটারগেজ ও ২৫৯টি ব্রড গেজ ওয়াগান সংগ্রহ। উন্নত ও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন ক্রয়, অত্যাধুনিক রেল ওয়ার্কশপ তৈরিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি আনার পরিকল্পনা রয়েছে এ প্ল্যানে। মাস্টার প্ল্যানে দেশের সকল সমুদ্রবন্দরকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এনে পণ্য পরিসেবার সিংহভাগ রেলের মাধ্যমে করে আয় বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার