• রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩০

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
পুলিশের প্রচেষ্টায় মা-বাবার কাছে ফিরলেন সুমি দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে বিশ্বনাথের কিশোর নিহত সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর হাইকোর্টে জামিন জকিগঞ্জে পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া শিশু উদ্ধার, পিতাসহ গ্রেফতার ৪
৩৫

লাউয়াছড়ার মহাবিপন্ন বাঁশপাতি গাছ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৩  

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে মহাবিপন্ন বাঁশপাতি গাছের। লাউয়াছড়া বন গবেষনা কেন্দ্রের সিলভি কালচার রিসার্চ বিভাগ সূত্রে জানা যায় যে এখানে মাত্র ৫-৭ টি গাছ রয়েছে।

বাঁশপাতি মূলত প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো দেশি প্রজাতির নগ্নবীজ উদ্ভিদের একমাত্র নরম কাঠের কনিফার বা মোচা আকৃতির ফলের পেনসিল কাঠের গাছ। একসময় প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বাঁশপাতি গাছ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেটের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে রয়েছে কয়েকটি বাঁশপাতি গাছ।

বাঁশপাতি বড় আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ, উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৪০ মিটার এবং বুক সমান উচ্চতায় গুঁড়ি–কাণ্ডের বেড় ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাতা বোঁটাহীন, পুরু, বল্লমাকৃতি, লম্বায় ১২ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার এবং চওড়ায় প্রায় সোয়া সেন্টিমিটার, কিনারা মসৃণ এবং আগা সুচাল। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে এদের ভিন্ন ভিন্ন গাছে পুরুষ ফুল ও স্ত্রী ফুল ফোটে।

বাঁশপাতি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম (Podocarpus neriifolius) বিপদাপন্ন প্রজাতির একটি বিরল গাছ। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের ২০১০ সালের লাল তালিকা অনুসারে বাংলাদেশে বাঁশপাতি মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি বিরল বৃক্ষ এবং বৈশ্বিকভাবে অন্যতম বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ হিসেবে অভিহিত। ২০১২ সালে প্রণীত দেশের বন্য প্রাণী আইনেও বাঁশপাতি গাছ সংরক্ষিত উদ্ভিদ হিসেবে অভিহিত।

বাঁশপাতির কাঠ হালকা বাদামি রঙের, নরম, কম মজবুত ও কম টেকসই। আসবাব, ক্যাবিনেট তৈরি, কাঠ–পেনসিল, ছবি বাঁধাইয়ের ফ্রেম, হারমোনিয়ামসহ বাদ্যযন্ত্রের সরঞ্জামাদি, পরিমাপের স্কেল, শোপিস, কাগজ তৈরির মণ্ড, ইত্যাদি তৈরিতে এ কাঠ ব্যবহার্য। বর্তমানে কাটিং বা কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা হচ্ছে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার