প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে বাড়ছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ

বৈশ্বিক নানা সংকটে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমলেও ভিন্ন চিত্র মৌলভীবাজারে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে এ জেলায় ২০৩ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। যা সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নেয়া নানামুখি পদক্ষেপেই এই আয় বাড়ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা সংকটে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমলেও মৌলভীবাজারে গত কয়েক অর্থবছর ধরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় ৪৭০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসলেও ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯৯ কোটি টাকায়। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জেলায় ২০৩ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা সিলেট বিভাগের ৮০০ কোটি টাকা প্রবাসী আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টদের নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণেই প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিলেট ব্র্যাঞ্চের এসপিএন ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল আলম বলেন, অনেকেই ডলার সংকটের কথা বলছেন। এটি কিন্তু কেটে আসছে। আমাদের প্রবাসী ভাই ও বোনেরা তাদের পরিশ্রমের টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। এখন এ জেলায় রেমিট্যান্সের প্রবাহ তুলনামূলক ভালো।

ব্র্যাক ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল আলম বলেন, এ পর্যন্ত যত দক্ষ শ্রমিক বিদেশে গেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কিন্তু এ বছরই গেছে। এ মানুষগুলো যখন রেমিট্যান্স পাঠাবেন, তার কিন্তু একটি ভালো প্রভাব পড়বে।

তবে জেলার প্রবাসীরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারলেও বৈশ্বিক সংকটে তাদের প্রবাসে বসবাস কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে এক প্রবাসী বলেন, আগে আমি মরগেজ দিতাম ধরুন ২০০ পাউন্ড। এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ পাউন্ডে। যেখানে গ্যাসের বিল দিতাম ৭০ পাউন্ড, সেটি এখন প্রায় দেড়শ পাউন্ডেরও উপরে। এখন যদি আমরা সেখানে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারি, তাহলেই তো আমরা রেমিট্যান্স পাঠাবো।

প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার প্রায় এক লাখ মানুষ ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন।