ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৫৭

হবিগঞ্জে হারিয়ে গেছে অর্ধেকের বেশি নদী, অস্তিত্ব নেই শত শত খালের

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

সত্তরের দশকে হবিগঞ্জ জেলায় নদী ছিল ৫০টিরও বেশি। তবে বর্তমানে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় আছে মাত্র ২২টি নদীর নাম। যা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

গত ৫ দশকে হবিগঞ্জে অস্তিত্ব নেই নদীর সঙ্গে মিশে থাকা শত শত খালেরও। এসব নদী ও খাল দখল করে গড়ে উঠেছে বসতি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা। দীর্ঘ সময় ধরে খনন না করায় সমতল ভূমিতে পরিণত হওয়া নদীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

যে ২২টি নদী এখনও টিকে আছে সেগুলোর অবস্থাও খুবই করুণ। নদীগুলো পরিণত হয়েছে খাল বা নালায়। সেই সঙ্গে নদী শাসনে মহা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে কুশিয়ারা, কালনী, খোয়াই, ধলেশ্বরী, সুতাং, রত্মা এবং করাঙ্গীর মতো বড় নদীগুলোও।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এসব নদী হারিয়ে যাওয়া এবং দখল-দূষণের জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দায়ী। এখনও যেসব নদী টিকে আছে এগুলো সংরক্ষণ করা না হলে কয়েক বছর পর সেগুলোও হারিয়ে যাবে। এতে চরম সংকটে পড়বে পরিবেশ, প্রকৃতি ও প্রাণীকুল।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী বা পরবর্তী সময়ে হবিগঞ্জে কতটি নদী ছিল সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ২০২১ সালের করা একটি তালিকায় তাদের কাছে ২২টি নদী ও ৬৩টি খালের নাম রয়েছে। আপাতত নদীগুলো বাঁচানোর উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রত্মা ও ধলেশ্বরীর ৮ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন চলছে বিজনা-গোপলা, করাঙ্গী, কাস্তি, সোনাই নদীর ১১৭ কিলোমিটার। যার ৫০ শতাংশ কাজ শেষ।

হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন খোয়াই নদী রক্ষায় ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর পশ্চিমপাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। আর শহর থেকে অন্তত ১২ ফুটের বেশি ওপরে উঠে যাওয়া নতুন খোয়া নদী ড্রেজিংসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘নদী রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে নদীর ওপর গড়ে ওঠা ৯৪২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকিগুলো উচ্ছেদেও তালিকা তৈরি করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে হাইকোর্টে মামলা থাকায় ৩৩টি স্থাপনায় হাত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষ নয়, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নদীদূষণ করছে, তাদের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। এমনকি দখলদারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র্রপক্ষ হিসেবে আদালতেও লড়াই করছি আমরা।’

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার