ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৮১

হবিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে ব্যাপক ভাঙন

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী। হেমন্ত মৌসুমে নদীটি নদীপাড়ের মানুষের জন্য আর্শীবাদ হয়ে আসলেও বর্ষা মৌসুমে যেন এর বিপরীত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই কালনী কুশিয়ারা নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। গত কয়েক বছরে এরই মধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন শুরু হলেই তোড়জোর দেখা যায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের। লোকদেখানোর জন্য ফেলা হয় জিও ব্যাগসহ মাটির বস্তা। তবে এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি তারা। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদী পাড়ের মানুষদের সুরক্ষা দিতে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
 
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদী এপারে হবিগঞ্জ জেলা হলেও ওপারে সুনামগঞ্জ জেলা। নদীর দুপাড়েই বর্ষা মৌসুমে চলে ভাঙন আতঙ্ক। প্রতিনিয়ত ভাঙনের ফলে অনেক বাসিন্দাদের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সর্বনাশা কুশিয়ারা। নদীর উজান দিকে কুশিয়ারা আর ভাটির দিকে রয়েছে কালনী অংশ। যা আজমিরীগঞ্জ এলাকায় এসে মিলিত হয়েছে। নদীটির দু’পাশে অন্তত শতাধিক গ্রাম রয়েছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই গ্রামগুলোর মানুষের মধ্যে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি রক্ষার এক অভিন্ন অভিযান।

স্থানীয়রা জানান, এরইমধ্যে গত কয়েক বছরে শতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কয়েকটি গ্রামের আরো শতাধিক ছোট বড় ঘর-বাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের দেখা দিচ্ছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। অনেকেই আবার ভাঙনের কবলে পড়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি বিভিন্ন খাস জমিতে।

স্থানীয়রা আরো জানান, বিগত তিন বছরে উপজেলার কাকাইলছেওয়ের বদলপুর, মনিপুর, বাহাদুরপুর ও সলরি গ্রামগুলো তীব্র ভাঙনের শিকার হয়েছে। গ্রামগুলোর আরো অনেক বাড়ি ঘর এখন ভাঙনের মুখে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।
 
মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর জাহান বেগম বলেন, আমরা এমনিতেই দিনে আনি দিনে খাই। একদিন কাজ না করলে দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটে না আমাদের। স্বামীও একজন দিনমজুর। 

তিনি বলেন, বর্ষার শুরুতেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তা নিয়ে আতঙ্কে আছি। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু নদী গর্ভে চলে গেলে আমাদের বাঁচা মরা সমান।

নদী পাড়ের বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, আমার প্রতিবেশী জাহের আলীর ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় সে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। দ্রুত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমারও তার মতোই অবস্থা হবে।

তিনি বলেন, ‘শুধু আমি না, আমার মতো আরো শতাধিক ঘর-বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে।’

কাকাইলছেও ইউপি চেয়ারম্যান মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার বলেন, নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হবে। এছাড়াও আমার সাধ্যমতো ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছি।
 
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার বলেন, বর্তমানে নদীতে বেশি পানি থাকায় কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমে আসলে হয়তো বেশি ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সবসময় যোগাযোগ রাখছি। যাতে আগের প্রস্তাবনাটি পাশ হয় এবং দ্রুত কাজ শুরু করতে পারি।
 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার