ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৭৩

গোলায় ধান আছে, বাজারে দাম নেই

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২  

চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়া হতাশ হবিগঞ্জের কৃষকরা। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আবার মৌসুম শেষেও সরকারিভাবে ধান কেনা পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

তাদের দাবি, বাজারে পাইকাররা যে দামে ধান কিনছেন তাতে তাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।

একই সঙ্গে কৃষকের অভিযোগ, সরকার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান অল্পবিস্তর কিনলেও সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে গিয়ে তাদের পোহাতে হয় নানা ঝক্কি-ঝামেলা।

স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, ধান লাগানো থেকে শুরু করে সার-ওষুধ-কীটনাশক বা কাটা পর্যন্ত প্রতি ক্ষেরে (২৮ শতকে এক ক্ষের) কৃষকের খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। এক ক্ষেরে ধান উৎপাদন হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ মণ। প্রতি মণ ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হিসেবে প্রতি ক্ষেরে কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকা। সঙ্গে পরিবারের সকলের শ্রম তো আছেই।

ঘরে তোলা ধান নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হবিগঞ্জের চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে হবিগঞ্জে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৬২ শতাংশ ও হাওরের ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে।

সরকার কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল হবিগঞ্জে এই অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে উদ্বোধনের দিন ৩ টন ধান কেনা হলেও এখন পর্যন্ত আর কেনা হয়নি।

লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ ক্ষের জমি করেছি। এ বছর তেমন ফলন হয়নি। প্রতি ক্ষেরে ২০ মণের জায়গায় উৎপাদন হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ মণ ধান। বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা আর শুকনা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। অথচ প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ ৭০০ টাকার ওপরে।’

তিনি বলেন, ‘অন্য বছর সরকার ধান কিনত। এ বছর তাদেরও সাড়া নেই। আবার সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেও লাভ নেই। কারণ সরকারকে ভালো করে শুকিয়ে গুদামে দিতে হয়। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।’

একই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামের কৃষক জাহির উদ্দিন বলেন, ‘ধান চাষ করি আমরা লাভের আশায়। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে কিন্তু ধানের দাম বাড়ে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা ধান বেচতে পারি না। বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে তারা ধান নেয়। আমরা ধান নিয়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ফেরত দেয়।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মারমা বলেন, ‘এবার হবিগঞ্জে ১৬ হাজার ২০৬ টন ধান ক্রয় করা হবে। ঈদের ছুটির কারণে পুরোপুরিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তবে শিগগিরই ধান কেনা শুরু করা হবে।’

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার