বরখাস্ত এসআই আকবরের বাবা একজন ধর্ষক, দাবি স্থানীয়দের

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে নিয়ে চাঞ্চল্য তার জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মুখ খুলছেন স্থানীয়রা। বলছেন, চাকরিতে যোগদানের পর থেকে অঢেল সম্পদের মালিক আকবর। তার পরিবার নিয়েও আছে নানা বিতর্ক। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ স্বজনরা।

জেলার আশুগঞ্জের বগাইড় গ্রামে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেনের একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে। পুলিশে যোগদানের পরই যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান তিনি। অল্প দিনেই নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন প্রচুর সম্পদ-সম্পত্তি।

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে আকবরের সংশ্লিষ্টতার খবর এরইমধ্যে ছড়িয়েছে তার এলাকায়। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয়রা জানায়, আকবরের পুরো পরিবারটি এলাকায় বিতর্কিত। তার বাবা ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন। কারাগারেও ছিলেন এক মাস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক বলেন, আকবরের বাবা স্কুলশিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার সময় তিনি এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তাকে সাজাও দেয়া হয়েছিল।

বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার কঠোর শাস্তি এবং নিহতের পরিবার যেন ন্যায্য বিচার পায় এমনটিই প্রত্যাশা করছেন আশুগঞ্জবাসী।

একজন আইনের সেবক হয়ে আকবরের এমন কাণ্ডে হতবাক স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিষয়টি দুঃখজনক বলছেন নেতারা। সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা আশুগঞ্জবাসী লজ্জিত। এটি একটি ন্যাক্কারজনক এবং দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে তাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।

এদিকে, আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিশ্বাস করছে না তার পরিবার। তারাও চাইছেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

আকবরের ভাই বলেন, আমার ভাই এ ধরনের কাজ কখনো করতে পারেন না। আমি চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আমরা নিউজের মাধ্যমে এ ঘটনা জানতে পেরেছি। কিন্তু কোনো সত্যতা পাইনি। আমার ভাই আসলে কিছুই বলেননি যে, আমি এটা করেছি, ওইটা করিনি। এভাবে আমরা আসলে কিছুই জানতে পারিনি।

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে এরইমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি।