ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১৬২৪

দুই দিনেই সুস্থ হবে করোনা রোগী!

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  


আপনি কি করোনায় পজিটিভ? বাঁচবেন না মারা যাবেন এই চিন্তায় ভিতরে আতঙ্ক কাজ করছে? প্রথম কথা হচ্ছে- বাঁচা মরার মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনিই ভাল জানেন কে বাঁচবে আর কে মরবে। সুতরাং এ নিয়ে আপনার চিন্তা করার একদম দরকার নেই। আপনার হায়াত যতদিন থাকবে ততদিনই বাঁচবেন। তার বেশি এক সেকেন্ডও আপনি বাঁচবেন না। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ আপনি মারা যাওয়ার আগেই যদি আতঙ্কে মারা যান তাহলে আপনার কোনো চিকিৎসাই কাজে লাগবে না। কথায় আছে ‘বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়’। 

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ভয় পায় বা আতঙ্কিত হয় তাহলে শরীরের সব ইউমিলিটি কমে যায়। ইউমিলিটি  শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে। এক্ষেত্রে ইউমিলিটি পানি হয়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সুতরাং মনোবল হারালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য আপনার যা ভালো লাগে তাই করুন।

এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন করোনা রোগী বাসায় বসে নিয়মিত কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে দুইদিনের মধ্যে সুস্থ হতে পারেন। জ্বর, সর্দি, কাশি বা গলাব্যাথা যাই হোক না কেন আল্লাহ চাইলে আপনি দুইদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। 

নিম্নে এ সংক্রান্ত কিছু টিপস দেয়া হলো-

১) লেবু, আদা, তেজপাতা, লং, এলাচি, দাড়চিনি, একটি পরিস্কার ডেকচিতে পানিতে ফুটাতে থাকুন ১৫ মিনিট। সাথে আস্তা লেবু ২টা।

২) পানি ফুটানো চলাকালে নিরাপদ দূরত্বে থেকে গরম বাষ্প নাক দিয়ে লম্বা টেনে মুখ দিয়ে বের করতে হবে কমপক্ষে ৫ মিনিট। এভাবে দৈনিক ৪ থেকে ৫ বার গ্রহন করুন।

৩) তারপর এই ফুটন্ত লেবু, আদা, তেজপাতা ইত্যাদির মিক্স গরম পানি চায়ের মতো করে ১ ঘণ্টা পরপর পান করতে থাকুন।

৪) নাপা এক্সটেন্ড জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন।

৫) ফুসফুসকে ভাল রাখার জন্য বাসায় বা বাসার বারান্দায় বসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করুন কমপক্ষে দৈনিক দুইবার। নাক দিয়ে লম্বা নিঃশ্বাস গ্রহণ করুন যত বেশি নিতে পারেন নিন তারপর যতক্ষণ আটকিয়ে রাখতে পারেন রাখুন। তারপর মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।

৬) আদা কেটে সামান্য লবন দিয়ে প্লেটে রাখুন। একটু পরপর মুখে দিন।

৭) গরম দুধ, গরম চা, কফি গ্রিন টি আধা ঘণ্টা পরপর পান করুন। কোনভাবেই গলা শুষ্ক রাখা যাবে না। আপনার ‘কী রোগ হলো’ আপনি বাঁচবেন কি বাঁচবেন না ভুলেও এসব ভাবনা মাথায় প্রশ্রয় দিবেন না। মনে রাখবেন মনোবলই হচ্ছে আসল কথা। 

উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপনি দুইদিন চিকিৎসা নিলে এটা পরীক্ষিত সত্য যে তৃতীয় দিনের দিন আপনার করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ পজিটিভ নেগেটিভ হতে বাধ্য। ইনশাআল্লাহ। 

এছাড়াও মাহামারি আকার ধারণ করা করোনার এই ক্রান্তিকালে কিছু খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা নিম্নোক্ত কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন।  

যেসব খাবার সংক্রমণ প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়ায়  

দুধ বা দুধজাতীয় খাবার। যেমন-টকদই ও ছানা। খাদ্যশস্য (যেমন- লাল চাল, লাল আটা, মিষ্টি আলু), মাছ, মুরগি ও ডিম। প্রচুর রঙিন শাকসবজি। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল বা টক জাতীয় ফল। যেমন-লেবু, কমলা, আমলকী, মালটা, পেয়ারা, আনারস, বেদানা ইত্যাদি।

মৌসুমি সবজি, মাশরুম এবং আদাসহ চিকেন ক্লিয়ার স্যুপ, আদা, ব্ল্যাক ও জিঞ্জার-টি। আমাদের প্রতিদিনের ডায়েটে এন্টি-ভাইরাল খাবারগেুলো অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি।

রসুনের রয়েচে অ্যালাইসিন নামক প্রাকৃতিক উপাদান। যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। একটি কাঁচা রসুন চিবিয়ে অথবা সূপের সঙ্গে যোগ করে খেতে পারেন।

যেসব খাবার আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে বসে বাইরের অর্ডার ফুড একদম বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া খাবার। বাইরের হোটেল বা রাস্তার খাবার। ধূম ও মদপান।

খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে। প্রতিদিনের খাবারে যদি আমরা ৬০%-৬৫% অ্যান্ট্রি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো (ওপরে উল্লেখিত) রাখি তবেই আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমরা সক্ষম হবো। তাই অসুস্থ হওয়ার আগে প্রতিরোধ খুবই জরুরি। আর এই প্রতিরোধের এজন্য অনাক্রম্যতা (টিকা) সুরক্ষা বুস্ট-আপ করাটাও খুবই জরুরি।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার